ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গানে গানে গীতসুধার জন্মোৎসব উদ্যাপন

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

গানে গানে গীতসুধার জন্মোৎসব উদ্যাপন

গৌতম পান্ডে ॥ মিলনায়তনজুড়ে সম্মেলক কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের গান ‘বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি’, ‘রহি রহি আনন্দতরঙ্গ জাগে’, ‘বহে নিরন্তর’। শ্রোতারা অপলক শুনছে শিল্পীদের পরিবেশিত রবীন্দ্রসঙ্গীত, আর গান শেষে করতালি দিয়ে উৎসাহিত করছে। রবীন্দ্রপ্রেমীদের জন্য সন্ধ্যাটি ছিল খুবই মনোরম। দেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের উপস্থিতি ও পরিবেশনাও ছিল চমৎকার। রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চার অন্যতম সংগঠন ‘গীতসুধা’র একুশ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশবরেণ্য শিল্পী মোস্তফা মনোয়ার ও ছায়ানট ট্রাস্টি সাইফুদ দৌলা। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথি বলেন, রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘আমার ছোট গল্প তোমাদের পড়তে হবে এবং আমার গান তোমদের শুনতে হবে’। তার কবিতা, উপন্যাস ও নাটকের কথা বললেন না, বললেন ছোট গল্প ও গানের কথা। রবীন্দ্রনাথের শৈশব থেকে ঠাকুর বাড়িতে গানের চর্চার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, জীবনে এমন কোন মুহূর্ত নেই, যেখানে আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত ব্যবহার না করি। গীতসুধার পরিচালক প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রচার-প্রসারে নিরলস কাজ করছে। আগামীতেও সে করবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তার সুযোগ্য পরিচালনায় আমরা অনেক রবীন্দ্রসঙ্গীত পাব। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। এর আগে অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান গীতসুধার কর্ণধার সঙ্গীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। আলোচনায় আরও অংশ নেন ভারতের রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী বাসবী দত্ত ও সালমা এ শফি। রবীন্দ্রনাথের ‘আছে দুখ : আছে মৃত্যু’ গানের মধ্যদিয়ে সভাপতির বক্তব্য’র ইতি টানেন শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। শুরুতে ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। গীতসুধার শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠে ‘চিত্ত পিপাসিত রে’ রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় মূলপর্ব। এরপর শিল্পী সুরাইয়া মোজাম্মেল ও রোকসানা কবীর লোরেনের দ্বৈতকণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’ গানটি। শিল্পী সালমা এ শফি ও নকুল চন্দ্র দাস দ্বৈতকণ্ঠে গেয়ে শোনান রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘রহি রহি আনন্দতরঙ্গ জাগে’। প্রখ্যাত গিটার শিল্পী এনামুল কবির ও কৃষ্ণা মিত্রের দ্বৈতকণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী আমি অবাক হয়ে শুনি’। এছাড়া অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী বাসবী দত্ত, আবদুল ওয়াদুদ, আমিনা আহমেদ, বুলবুল ইসলাম, আনিসা ফজলে লিসি, তাহমিনা খাতুন পুতুল, গৌরাঙ্গ কুন্ডু, সায়মা সাইফ খুশি, মৌসুমী মল্লিক মৌ, রোকাইয়া হাসিনা নিলি, মহিউজ্জামান ময়না, কিরণ চন্দ্র রায় প্রমুখ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন রুবি রহমান ও কাজী মদিনা। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চন্দ্রা চৌধুরী ও নাজমুল আহসান।
×