ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বাধীনতার চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুব্ধ করতে নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে ॥ ডা. এনামুর রহমান এমপি

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

স্বাধীনতার চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুব্ধ করতে নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে ॥ ডা. এনামুর রহমান এমপি

জাগরণী থিয়েটারের আয়োজনে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ মিলনায়তনে চলছে বিজয় নাট্য উৎসব-২০১৭। গত ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘বিজয় নাট্যোৎসব-১৭’ চলবে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত। উৎসবে স্বাগতিক নাট্যদল জাগরণী থিয়েটারসহ ৫টি নাট্যদল তাদের জনপ্রিয় নাটক মঞ্চস্থ করছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ মোঃ এনামুর রহমানের সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। উৎসবের উদ্বোধনও তিনিই করেছেন। এ প্রসঙ্গে এ উৎসবের উদ্যোক্তা ও সংসদ সদস্য ডাঃ মোঃ এনামুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। প্রথমেই জানতে চাই সাভারের মতো জায়গায় এ ধরনের উৎসবের উদ্দেশ্য কী? ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান : বর্তমান সরকার সংস্কৃতিবান্ধব সরকার। দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে এ সরকার। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সুস্থ ও সুন্দরভাবে সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার অদূরে সাভারের মতো স্থানে জাগরণী থিয়েটারের আয়োজনে এই বিজয় নাট্য উৎসবে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। জনগণকে সংস্কৃতি বিষয়ে সচেতন করা, বিশেষ করে নাট্যদর্শক বাড়ানো আমাদের এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া স্বাধীনতার চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুব্ধ করে সাভার এবং আশুলিয়ার জনগণকে উজ্জীবিত করার প্রয়াসে বিজয় নাট্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। অপসংস্কৃতি বা জঙ্গীবাদ দমনে এই উৎসব কতটা ভূমিকা রাখবে বলে আপনি মনে করেন? ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান : বাংলাদেশের সংস্কৃতি থেকে কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদসহ সকল অপসংস্কৃতি দূর করে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে জনগণকে উজ্জীবিত করতে সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই। এই চর্চায় পৃষ্ঠপোষকতা দিতেই আমরা এই বিজয় নাট্য উৎসবের আয়োজন করেছি। আমরা মনে করি অপসংস্কৃতি বা জঙ্গীবাদ দমনে জনমনে সচেতনতা তৈরিতে এই উৎসব অনেকটাই ভূমিকা রাখবে। স্থানীয়ভাবে মঞ্চনাট্য চর্চার বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান : আমি মনে করি সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মঞ্চ নাটক শক্তিশালী স্থান করে নিয়েছে। একটি জাতীর কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য সঙ্গীত, অভিনয়, সাজসজ্জা ও নৃত্যসহ শিল্পের প্রায় সকল শাখার মিশ্রণে মঞ্চ নাটক প্রযোজিত হয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা গঠনে বিশেষ করে তরুণ যুব সমাজে এর ভূমিকা অপরিসীম। এই মাধ্যমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিবেচিত হয়। তাই আমি চেষ্টা করছি আমার নির্বাচনী এলাকা সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় সংস্কৃতিকর্মীরা যাতে সুস্থভাবে তাদের চর্চাটা চালিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাব। বিশেষ করে মঞ্চনাট্য চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে নাট্যদল বা নাট্য সংগঠনগুলোকে আমি সহায়তা করার চেষ্টা করব। আশুলিয়া ও সাভারের স্থানীয় নাট্য দর্শকদের উদ্দেশে আপনার বক্তব্য কী? ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান : আমি এই বিজয়ের মাসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি বাংলাদেশের রক্তিম সূর্য এনে দিয়ে শিল্প সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মাদার অব হিউম্যানিটি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যিনি সাভার ও আশুলিয়ার মানুষের জন্য আমাকে মনোনয়ন দিয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন সমানতালে এগিয়ে চলছে বিশ্বের সঙ্গে। আর আমি সাভার আশুলিয়াবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা করছি। সাভারের সংস্কৃতির বিকাশের জন্যও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আর তারই বহিঃপ্রকাশ বিজয় নাট্য উৎসব। এই নাট্য উৎসবে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেয়ায় আমি আমার সাভার আশুলিয়াবাসী জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমরা ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ। ভবিষ্যতেও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কামনা করছি। সাভারে স্থায়ী নাট্যমঞ্চ স্থাপন বা শিল্পকলা একাডেমির বিষয়ে কোন উদ্যোগ কী নেয়া হবে? ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান : আমরা বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। সংস্কৃতিকর্মীরা অনেকদিন ধরেই এ বিষয়ে কথাবার্তা বলে আসছেন। এজন্য আমরা আপাতত এনামুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ মিলনায়তনটি সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তবে আমি আশ্বাস দিতে পারি সাভারে স্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ এবং শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠায় আমি আমার সর্বাত্মক চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। -সাজু আহমেদ
×