ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিজেপি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে ॥ রাহুল গান্ধী

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

বিজেপি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে ॥ রাহুল গান্ধী

বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, বিজেপি পুরোপুরিভাবে মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির গুজরাট মডেল একটি মিথ্যাচার।’ টুজি তরঙ্গ মামলা বিচারের রায় সমর্থন করে রাহুল শনিবার অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন বিজেপির পুরো কাঠামোই মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) প্রথম বৈঠক শেষে রাহুল গান্ধী এসব কথা বলেন। এ সময় রাহুলের পাশে তার মা সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত ছিলেন। পিটিআই। বৃহস্পতিবার বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমি মনে করি, টুজি মামলাটি কংগ্রেসের পক্ষের একটি দৃষ্টান্ত।’ বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিজেপি পুরোপুরিভাবে মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। নরেন্দ্র মোদির গুজরাট মডেলও একটি মিথ্যা।’ রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তুলেন, বিজিপির প্রধান অমিত শাহ’র পুত্র জয়ের সঙ্গে একটি ফার্মের যখন রাফালে চুক্তি ও অর্থনৈতিক অনিয়ম সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, মোদি কেন তখন ‘নীরব’ ছিলেন? পার্টি প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর শুক্রবারই রাহুল গান্ধী প্রথম সিডব্লিউসি বৈঠক করেন। রাহুলের মা ও পার্টির সাবেক প্রধান সোনিয়া গান্ধী বৈঠককালে রাহুলের সঙ্গেই ছিলেন। সোনিয়া গান্ধী রাহুলের ঠিক কিছু সময় আগে বৈঠকে এসে উপস্থিত হলে দলের নেতা-কর্মীরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, দলের সিনিয়র নেতা মতিলাল ভোরা, গোলাম নবী আজাদ, জানার্দন দেইবেদি, মাল্লিকার্জুন খারজে, কারণ সিং, আনন্দ শর্মা, মোহসিনা কিদওয়াই, অম্বিকা সোনি, সিপি জোসি, কমল নাথ, বিকে হরিপরিষদ ও ওস্কার ফার্ণান্দেজসহ বেশ কিছু নেতানেত্রী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকের আলোচ্য বিষয়সমূহ প্রকাশ করা হয়নি। কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আজ এক দিকে সোনিয়া গান্ধী ও অন্য দিকে মনমোহন সিংহকে পাশে বসিয়ে তিনি তুলোধোনা করলেন মোদিকে। রাহুল বলেন, ‘টুজি নিয়েও সম্ভবত সব থেকে বড় অস্ত্র আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে। সেটিও ভুয়া প্রমাণিত হলো।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে ক্ষুব্ধ রাহুল বললেন, ‘মোদি মিথ্যা প্রচারকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন, যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকেও অপমান করতে ছাড়েন না। মানুষ এখন এই অপমান নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।’ রাহুলের মতো কমিটির সদস্যরাও অভিযোগ করেন, ইউপিএ সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে মোদি, অরুণ জেটলিরা তৎকালীন সিএজি বিনোদ রাইয়ের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছেন। বিনোদের ডেপুটি আর পি সিংহ বলেছিলেন, রাজস্ব ক্ষতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু বিনোদ জোর করে ১ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা লিখিয়ে নেন। ভোটে জিততে মোদি এতই মরিয়া যে, পূর্বসূরিকে দেশদ্রোহী বলতে তার বাধেনি। আর ভোট শেষ হতে তিনি রহস্যজনকভাবে চুপ। বৈঠকের পরে রাহুল বাইরে এসে বলেন, ‘টুজি নিয়ে সত্য সামনে এসেছে। পুরোটাই মিথ্যে। মোদি মডেল বলেও কিছু নেই। সবটাই ভোয়া।’
×