ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মধুপুর জাতীয় উদ্যানের গাছ কেটে দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

মধুপুর জাতীয় উদ্যানের গাছ কেটে দখলের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৩ ডিসেম্বর ॥ টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অফিসের আওতায় মধুপুর জাতীয় উদ্যানের গাছাবাড়ী বিট এলাকায় ঘুঘুর বাজারে আসিম তলায় প্রায় চার বিঘা জমির ওপর রোপণকৃত বনের গাছ প্রকাশ্যে কেটে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ওই এলাকার মিন্টু শর্মা স্থানীয় এক মেম্বারকে সঙ্গে নিয়ে রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে লাখ লাখ টাকার উডলগ বাগানের গাছ কেটে সাবার করছে। বনের গাছ কাটার নিয়ম অনুযায়ী ১০ বছর মেয়াদ পূর্ণ না হলে গাছ কাটা নিষেধ। গাছের বয়স পরিপক্ক না হলেও কাটার আইন না মেনে অর্থের লোভে বন অফিসের কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উর্ধ্বতনের দোহাই দিয়ে ৪-৫ বছরের পূর্বে রোপণকৃত উডলগ অপরিপক্ক বাগান ধ্বংস করছে। যা পরবর্তীতে পতিত দেখিয়ে জবর দখলের নিকট ভুয়া লিজ দিয়ে আনারস ও কলা চাষের জন্য জায়গা করে দেয়ার পায়তারা করছে মোটা অংকের টাকা উৎকোচের বিনিময়ে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সাবেক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাসুদ রানা মোটা অংকের টাকা খেয়ে বদলি বাণিজ্য করে বন প্রহরী আমজাদকে ফরেস্টারের দায়িত্ব দেয়ায় ওই এলাকার বনাঞ্চল হুমকির মুখে পড়ে। এতে দিনদিন বিভিন্ন ধরনের বাগান ধ্বংস হচ্ছে। পূর্বের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অসিত রঞ্জন পাল অত্যন্ত কর্মদক্ষতার সঙ্গে মধুপুর অঞ্চলে পরিবেশ ও বন রক্ষায় শাল, গজারি ও উডলগ বাগান গড়ে তুলেছিলেন। সময়ের আবর্তে দায়িত্বে থাকা সাবেক বিভাগীয় কর্মকর্তা মাসুদ রানাসহ অদ্যবধি মধুপুরের দায়িত্বে দুর্নীতিবাজ কতিপয় কর্মকর্তার ছোবলে বনের চিত্র দিনদিন ধ্বংস হয়ার উপক্রম হচ্ছে। প্রকাশ্যে ৪-৫ লাখ টাকার বনের গাছ কেটে সাবাড় করে পতিত বানিয়ে জবর দখলকারীরা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করলেও কর্তৃপক্ষ দায়সারা জবাব দিচ্ছে। গাছাবাড়ী বিট অফিসের দায়িত্বে থাকা বন প্রহরী আমজাদ হোসেন জানান, ৪-৫ বছর পূর্বে ঘুঘুর বাজার আ¤্রতিলায় ৪ বিঘা জমির ওপর রোপিত উডলগ বাগান বনের জায়গার ওপরে সত্য, জবর দখলকারী মিন্টু শর্মা বনের গাছ কেটে জমি পতিত বানাচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষমতায়। এতে আমাদের কিছু করার নেই। টাঙ্গাইল অফিস থেকে এসিএফ স্যার সরেজমিনে এসেছিল উর্ধ্বতনের নিকট ঐ বনের জায়গা কোন বনই ছিল না বলে পতিত দেখিয়ে রিপোর্ট ও প্রতিবেদন প্রকাশ করছেন।
×