ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বোয়ালখালীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতি

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

বোয়ালখালীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম, ২২ ডিসেম্বর ॥ রাজাকার ও পাক বাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াজিদের সনদ জালিয়াতি করে ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে চট্টগ্রাম নগরীর রহমগঞ্জের সেলিম চৌধুরী। সম্প্রতি এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে এর সত্যতা বেরিয়ে আসে। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াজিদের পরিবারসহ এলাকাবাসী। সাড়ে চার বছর ধরে নগরীর সেলিম চৌধুরী এসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও ন্যূনতম সহযোগিতাও পাননি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াজিদের পরিবার। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তৎকালীন সংগ্রাম পরিষদের সদস্য শিক্ষক মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন। তিনি দেশ স্বাধীনের পর সর্বপ্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘শহীদ ওয়াজিদ’ রচনা করেছিলেন। বোয়ালখালীতে জন্ম নেয়া এই লেখক ২০১৬ সালে তার প্রথম প্রকাশিত ‘ইতিহাসের মহানায়ক’ গ্রন্থটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াজিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। মুসলিম উদ্দিন জানান, ১৯৭১ সালে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের সৈয়দনগর গ্রামের একরাম রসূলের দুই ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে আবদুল ওয়াজিদ তখন আইএ’র ২য় বর্ষের ছাত্র। যুদ্ধচলাকালীন সময়ে ২৮ আগস্ট রাতে উপজেলা পরিষদের রাজাকার ক্যাম্পে অপারেশন চালাতে গিয়ে রাজাকার ও পাক বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াজিদসহ অনেকে। তাদের লাশও মেলেনি। এ সাহসী যোদ্ধার পরিবার যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সরকারী নামমাত্র সম্মানী পেয়েছিলেন বলে জানান তিনি। আবদুল ওয়াজিদের বড় ভাই মরহুম আবদুল আজিজের দুই ছেলে হাছান একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও জাবের একটি বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন। তারা বলেন, ‘দেশ স্বাধীনে চাচার অবদানের কথা মানুষের মুখে শুনি। তবে কখনোই এ বিষয়ে সরকারীভাবে কোনরূপ সহযোগিতা পাইনি।’
×