ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোস্টগার্ডে যুক্ত হয়েছে দুটি নতুন জাহাজ

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

কোস্টগার্ডে যুক্ত হয়েছে দুটি নতুন জাহাজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ২২ ডিসেম্বর ॥ বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে দু’টি নতুন জাহাজ ওপিভি সিজিএস মনসুর আলী ও কামারুজ্জামান। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন (মংলা সদর দফতর) এ কোস্টগার্ডের পরিচালক (অপারেশন) ক্যাপ্টেন ইকরাম চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে এ দু’টি যুদ্ধজাহাজ গ্রহণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ পদস্থ কর্মকর্তারা। ৮৭ মিটার দৈর্র্ঘ ১০ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থ এবং ১৩ শ’ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ দু’টি ঘণ্টায় ২৩ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে পারবে বলে জানায় জাহাজ দুটির অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম এহসান উল্লাহ ও ক্যাপ্টেন মাসুদুল করিম সিদ্দিকী। তারা আরও জানান, জাহাজ দু’টিতে ২০ জন কর্মকর্তা ও ১৪০ জন নাবিক রয়েছেন। কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ জুন জাহাজ দু’টির সাজানো-গোছানোর কাজ শুরু হয়। সফলভাবে তা সম্পন্ন করে গত ১২ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে কোস্টগার্ড বাহিনীর কাছে হস্থান্তর করা হয়। এর আগে ইতালি থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে একই ধরনের দুটি জাহাজ ওপিভি সিজিএস সৈয়দ নজরুল ও তাজউদ্দীন আনা হয়। গত ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাহাজ দু’টির কমিশনিং করেন। ওই দুটি চট্টগ্রামে রাখা হয়েছে। এই চারটি বড় জাহাজ সংযোজনের ফলে বাহিনীর সক্ষমতা অনেকে বেড়েছে। কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুযায়ী ‘ব্লু ইকোনমি’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোস্টগার্ড বাহিনীকে আধুনিকীকরণ ও শক্তিশালীকরণের জন্য নতুন জাহাজ দু’টি সংযোজিত হয়েছে। যাত্রার শুরু থেকেই কোস্টগার্ড আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, দেশের সমুদ্রবন্দর এবং সমুদ্র সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান, ডাকাতি দমনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় জনগণের জানমাল রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে আসছে। সময়ের প্রয়োজনে বাহিনীকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকারের বহুমুখী প্রয়াস হিসেবে জলযান সংগ্রহ ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য মোট পাঁচটি প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সে অনুযায়ী ইতালি থেকে কেনা সিজিএস কামারুজ্জামান এবং সিজিএস মনসুর আলী বহরে যুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে নির্মাণাধীন দু’টি ইনসোর পেট্রোল ভেসেল (আইপিভি) ও দু’টি ফাস্ট পেট্রোল বোট (এফপিবি) এবং খুলনা শিপইয়ার্ডে আরও তিনটি ইনসোর পেট্রোল ভেসেল (আইপিভি), একটি ফ্লোটিং ক্রেন ও ছয়টি বড় হাইস্পিড বোট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।
×