ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কথিত পীরের খপ্পরে পড়ে দুই লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন কৃষক

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

কথিত পীরের খপ্পরে পড়ে দুই লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন কৃষক

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ২২ ডিসেম্বর ॥ একমাত্র ছেলের মৃত্যুর হুমকি ও সোনার মোহর পাওয়ার লোভে কথিত মাজারের পীরের খপ্পরে পড়ে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা খুইয়েছেন নান্দাইল উপজেলার এক কৃষক। ওই কৃষক উপজেলার মাদারীনগর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে আবদুল কাইয়ুম। তিনি বিদেশে যাওয়ার জন্য জমানো টাকা থেকে ওই টাকা দিয়েছেন। গত ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় দিনে বিকাশের মাধ্যমে তিনি এই টাকা মাজারের পীরের ঠিকানায় পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতারিত কৃষক নান্দাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই কৃষকের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় তিনি জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর মাঝরাতে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে তার ফোনে কল আসে। ফোন করা ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর অলি পরিচয় দিয়ে বলে বর্তমানে সে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে রয়েছে। বহু বছর ধরে এই মাজারে সে বসবাস করছে। এক পর্যায়ে ফোনদাতা কাইয়ুমের কাছে প্রথম দিন একটি জায়নামাজ কেনার টাকা চায়। কাইয়ুম রাজি হলে ফোনদাতা এক হাজার ১৫০ টাকা পাঠাতে বলে। তিনি পরদিন বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেন। আবার দুইখানা কোরান শরীফ ও দুটি জায়নামাজ কেনার জন্য দেড় হাজার টাকা চায়। কাইয়ুম বলেন, দ্বিতীয় দফা টাকা পাঠানোর পরের দিন সকালে তাকে ফোন করে জানায় যে, তার জন্য সাত হাঁড়ি ভর্তি ধনরতœ বরাদ্দ হয়েছে। তিনি তাতে আগ্রহ না দেখালে কথিত পীর তাকে ভয় দেখায় যে, ওই ধনরত্ন না নিলে তার একমাত্র ছেলের মৃত্যু হতে পারে। এতে কাইয়ুম আতঙ্কিত হয়ে তার কথামতো কাজ করতে থাকেন। পর্যায়ক্রমে তিনি কথিত মাজারের ঠিকানায় বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে থাকেন। এভাবে ১০ কিস্তিতে কাইয়ুমের কাছ থেকে প্রতারক চক্রটি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কাইয়ুম আরও জানান, ফোনদাতা পবিত্র কোরানের শপথ দিয়ে এসব আলাপচারিতার বিষয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করায় তিনি ভয়ে কাউকে বলেননি।
×