ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইয়ে জমির উর্বর মাটি যাচ্ছে ইটভাঁটিতে

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

চাঁপাইয়ে জমির উর্বর মাটি যাচ্ছে ইটভাঁটিতে

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ পাহারা বসিয়ে জমির উপরের মাটি কেটে প্রায় ৪০টি ইটভাঁটিতে নেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ভাঁটি মালিকরা অর্ধশতাধিক ট্রাকটারের পেছনে ট্রলি লাগিয়ে এই মাটি বহন করছে ইটভাঁটিতে। বারঘরিয়ার পাল পাড়ার নিচ থেকে একেবারে খালঘাট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার জুড়ে নদীর বুকে জেগে উঠা বোরো জমির উপরের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিশাল লম্বা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ফসলি জমির ধারে। এদের হাতে শত শত একর ফসলের জমি নষ্ট হচ্ছে। তারা টাকার জোরে এই সব জমি লিজ নিয়ে টপ সয়েল কাটছে। মিডিয়া কর্মীরা যাতে এলাকায় প্রবেশ করে কোন ছবি তুলতে না পারে তার জন্য ভাঁটি মালিকরা পাহারা বসিয়েছে। কোন অচেনা লোককে কাছে ভিড়ত কিংবা মাঠের মধ্যে পেলে প্রশ্ন করা হচ্ছে কেন এসেছেন। কথা ছুড়ে কাঁবু করতে না পারলে এইসব পাহারাদাররা শক্তি প্রয়োগ করে তাড়াবার চেষ্টা করে। এদের হাতে নাজেহাল হচ্ছে প্রতিদিন বহু মানুষ। তারমধ্যে সংবাদকর্মীরাও রয়েছেন। কারণ একটাই আগের মতো ক্যামেরার প্রয়োজন পড়ে না ছবি তুলতে। যেকোন মোবাইল ফোনে ছবি ধারণ করা যায়। তাই পাহারাদাররা মোবাইল বহন নিষিদ্ধ করেছে। ইতোমধ্যেই অনেকে খুইয়েছে তাদের মোবাইল। বারঘরিয়া ও বালিয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ভাঁটি মালিকদের প্রত্যেকেই খুবই প্রভাবশালী। তাদের ধারণা পয়সা দিয়ে সবকিছু করা যায়। যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে তাদের নানানভাবে অর্থ যোগান দিয়ে পকেটে পুরে রেখেছে। বিধায় তারা দেদার পোড়াচ্ছে আমের লকড়ি। চিমনি নিয়েও প্রশ্ন আছে। এমনকি এসব অঞ্চলের অবৈধ ভাটার সংখ্যা কম নয়। তাই তারা সব কিছুকে হাত করেই ভাটা চালাচ্ছে। যারা ম্যানেজের আওতায় আসছে না তাদের ওপর শক্তি প্রয়োগসহ নানান ধরনের অশ্লীল ব্যবস্থাসহ শারীরিক নির্যাতনের চেষ্টা করছে। ইটভাঁটি মালিকদের কথা হচ্ছে তারা প্রভাবশালীদের পাশে রেখেই সব ধরনের বাধা অতিক্রম করে ইটভাঁটি চালাবে। যারা কোনভাবে বাগড়া দেবার চেষ্টা করবে তাদের তারা নিশ্চিহ্ন করে দেবে।
×