ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে॥ বি চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৫:০০, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে॥ বি চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডাঃ এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে নেমে গেছে। বিষয়টি এখন সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বি চৌধুরী কথা বলেন। বাংলাদেশ জনতা দল (বিজেডি) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কোথায় নেমেছে বুঝতে পারেন? এবারে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে শতকরা ২৪ ভাগ ভোট। আর বিএনপির আরও করুণ অবস্থা। তারা পেয়েছে শতকরা ১১ ভাগ ভোট। এখন রংপুরের নির্বাচন তো দেখিয়ে দিল এই দুই দলের জনপ্রিয়তা তলানিতে নেমে গেছে। একদম ন্যূনতম পর্যায়ে নেমে গেছে। জনগণের অধিকার প্রসঙ্গে বি চৌধুরী বলেন, আমরা যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম তা পাইনি। অন্ন, বস্ত্রসহ সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারিনি। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা একটাও দিতে পারেনি। চাল-ডাল, নুন পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বারবার এসব পণ্যের দাম বাড়ছে। চারদিকে সব লুটপাট। জীবনের নিরাপত্তা নেই। গুম-খুন। গুরুত্বপূর্ণ লোকজনসহ ৫৫ জন গুম হয়ে গেল। শিক্ষায় নকলবাজি, প্রশ্ন ফাঁস, প্রাইমারি স্কুলের প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্নও এখন ফাঁস হয়, ভাবা যায়? কী বিচিত্র দেশ এটা! আমরা তো ভাবিনি কখনও এমন জায়গায় বাংলাদেশ যাবে। কখনও চিন্তাও করিনি দেশের পরিস্থিতি এত নীচে নামতে পারে। ভাবতে খুবই অবাক লাগে। মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে যাই। এখন কি হচ্ছে। কি দেখছি। কখনও চিন্তা করিনি এসব দেখতে হবে। বিকল্পধারার সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, দুর্নীতি ভয়াবহ, দু-একজন ব্যতিক্রম ছাড়া সরকারী দলের নেতা-কর্মী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এদের ঘরে ঘরে দুর্নীতি। আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার দুটি ফ্লাইওভার, একটা ফোর লেন সড়ক আর পদ্মা সেতু করার অহংকার করে। বলছেন, উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের ব্যাংকগুলো লুটে তছনছ, খালি হয়ে গেছে, এই কি তার নমুনা? মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, এই বিজয়ের প্রত্যাশায় কী লাখো মানুষ জীবন দিয়েছে? সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে না। সরকার বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কী সত্যিই এগিয়েছে না পিছিয়েছে? সভাপতির বক্তব্যে এস এম শাহজাহান বলেন, আন্দোলন ছাড়া এই সংকট উত্তরণের কোন বিকল্প নেই। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার (বীর প্রতীক), বিজেডির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য দেন।
×