ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরের নির্বাচনকে কলঙ্কিত করতে চায় বিএনপি॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

রংপুরের নির্বাচনকে কলঙ্কিত করতে চায় বিএনপি॥ তোফায়েল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২২ ডিসেম্বর ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যারা রংপুরের অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে কলঙ্কিত ও কলুষিত করতে চায় তাদের কথা মানুষ আর বিশ্বাস করবে না। বিএনপি সবকিছুকেই ভিন্ন চোখে দেখে। সবকিছুতেই না বলে, বিএনপি’র কথার কোন মূল্য নেই। মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করেনি। বহু চেষ্টা করেছে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার। ২০১৩-১৪ সালে অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে। ৯৩ দিন হরতাল অবরোধ পঙ্গু করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আগামীতেও ব্যর্থ হবে। যে দল রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়। তারা নির্বাচনেও ব্যর্থ হয়। শুক্রবার ভোলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শহরের গাজীপুর রোডস্থ বাণিজ্যমন্ত্রীর বাস ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মিডিয়া দেশী বিদেশী আন্তর্জাতিক সংস্থা রংপুরের মানুষ স্বচোখে দেখেছে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু বিএনপি যে ব্যাধি-একটা রোগ সবকিছুতেই ভিন্ন চোখে দেখে। একমাত্র বিএনপি বলেছে, কারচুপি হয়েছে। বিএনপির কথার কোন মূল্য নেই। তারা যে কোন কথা সত্যকে মিথ্যা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু মানুষ বুঝে গেছে, বিএনপির সবকিছুতে না বলার অভ্যাস। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন বর্তমান সরকার ও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে। অবাধ নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগে ৯০ দিনের মধ্যে যে কোন দিন হবে। মন্ত্রী আরও বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে জিয়াউর রহমান দেশ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়াও তার আমলে ৭ মার্চের ভাষণ রেডিও টেলিভিশনে প্রচার করতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। ৯১-এর নির্বাচনের পর আমি বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে রেডিও টেলিভিশনে প্রচারের জন্য সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করলে বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু আজ সেই ভাষণ বিশ্ববিখ্যাত ভাষণ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ইউনেস্কো স্বীকৃত। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনীদেরকে নির্বাচিত করে সংসদে বসিয়েছে। মন্ত্রী ভোলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে ভোলার একটি রাস্তাও কাঁচা থাকবে না। ভোলা হবে বাংলাদেশের মধ্যে সিঙ্গাপুর। ভোলার মজুদ গ্যাস দিয়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে। ভোলা-বরিশাল ব্রিজ স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ভোলা-বরিশাল সড়ক যোগাযোগের জন্য ব্রিজ স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত ভোলা-বরিশাল সড়ক স্থাপিত হবে। ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, প্রবীণ সাংবাদিক আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, এনামুল হক আরজু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সফিকুল ইসলামসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×