সৌদি আরব ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের কাছে দৃশ্যত নতি স্বীকার করে ইয়েমেনের প্রধান বন্দর হোদেইদাহ খাদ্য ও বাণিজ্যিক জ্বালানির জন্য শুক্রবার আবারও খুলে দিয়েছে। এ অবরোধ প্রত্যাহার অন্তত ৩০ দিন কার্যকর থাকবে। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের।
জাতিসংঘসহ ত্রাণ সংস্থাগুলো দীর্ঘ এক মাস ধরে সতর্কতা উচ্চারণ করে আসছিল যে, বন্দর অবরোধের কারণে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক ত্রাণের প্রায় ৭০ শতাংশ দুর্দশাগ্রস্তদের কাছে পৌঁছতে পারছে না। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট হুতি বিদ্রোহীদের পরাজিত করার লক্ষ্যে ইয়েমেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে এবং দেশটিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আব্দু রাব্বুহ মনসুর হাদির সরকারকে পুনর্প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু লক্ষ্যগুলোর একটিও বাস্তবায়িত হয়নি এবং যুদ্ধ সম্প্রতি ১ হাজার দিনে পড়ল। সৌদি আরব অবশ্য এর আগেও বন্দরগুলো খুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু ৩০ দিনের মধ্যে বন্দর আবারও বন্ধ করে দেয়া হলে এক ব্যাপক রাজনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হবে এবং সে সমস্যা শুধু ইয়েমেনের জন্যই হবে না।
যুক্তরাজ্য সৌদি সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়বে। সৌদি সরকার পরিচালিত সংবাদ সংস্থা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জোট নেতৃত্ব বলেছে, হোদেইদাহ বন্দর ৩০ দিনের জন্য মানবিক ও ত্রাণ সরবরাহের জন্য খোলা থাকবে এবং এতে জ্বালানি ও খাদ্যবাহী জাহাজসহ বাণিজ্যিক জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে। যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের সরকার জাহাজে করে কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাণ তৎপরতা সক্রিয় করার জন্য যে সকল সামগ্রী পাঠিয়েছে সেগুলো খালাসের অপেক্ষায় আছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটে বলেছেন, সৌদি জোট ইয়েমেনে হোদেইদাহ বন্দর আবারও খুলে দেয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এ পদক্ষেপ কিছু সময় সক্রিয় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি এবং আমার আস্থা রয়েছে যে এতে ইয়েমেনী জনগণের দুর্দশা কমতে শুরু হবে। ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে টেলিফোনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বন্দর খুলে দেয়ার জন্য সৌদি সিদ্ধান্তের প্রতি স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি নিশ্চয়তা প্রকাশ করে বলেছেন, সৌদি যুবরাজ নববর্ষে যুক্তরাজ্য সফর করবেন। জনসন জোর দিয়ে বলেছেন, তাদের পররাষ্ট্র নীতিতে ইয়েমেন এক নম্বর অগ্রাধিকার এবং সৌদি আরব পাশ্চাত্যের চাপের প্রতি সাড়া দিতে অস্বীকার করলে এক বড় ধরনের কূটনৈতিক চিড়ের সৃষ্টি হতো।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: