ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করতে পারছে না ডিজিটাল নম্বর প্লেট

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করতে পারছে না ডিজিটাল নম্বর প্লেট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে বিআরটিএ ২০১২ সাল থেকে গাড়িতে ডিজিটাল নম্বর প্লেট ও আরএফআইডি স্টিকার লাগানো শুরু করে। অথচ গত পাঁচ বছরেও মেলেনি এর কোন সুফল। এরই মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ গাড়ির মালিকের পকেট থেকে বেরিয়ে গেছে শত শত কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও জবাবদিহিতা না থাকায় এ প্রকল্প সফলতার মুখ দেখেনি। বিআরটিএ বলছে, শীঘ্রই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেবার মান বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। চুরি যাওয়া এক গাড়ির মালিক শামসুল হুদা বলেন, গাড়ি চুরি হয়েছে ৬ তারিখ। ৪ তারিখ পর্যন্ত ট্রাকারে পাওয়া যাচ্ছে। ডিজিটাল গাড়ির নাম্বার প্লেট নিলাম সুবিধা পাওয়ার জন্য। এখন সুবিধা তো কিছুই পেলাম না। শামসুল হুদা শাওন পেশায় একজন ব্যবসায়ী, তার গাড়িটি চুরি যাওয়ার পর বর্ণনা করছিলেন নিজের অভিযোগ। চুরি যাওয়া গাড়ির সর্বশেষ অবস্থান দ্রুত শনাক্ত করাই ডিজিটাল নম্বর প্লেট সংযোজনের একটি প্রধান উদ্দেশ্য হলেও তা যে হয়নি শাওনের অভিজ্ঞতাই তা বলে দেয়। গাড়ি চুরি রোধ অথবা চুরি গেলেও দ্রুত খুঁজে বের করাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত করে ডিজিটাল নম্বর প্লেট ও আরএফআইডি স্টিকার বিতরণ শুরু হয় ২০১২ সালের অক্টোবরে। নম্বর প্লেট ও স্টিকার বাবদ বাহন অনুযায়ী ৪৬২৮ ও ২২৬০ টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করে বিআরটিএ। এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পূর্ণাঙ্গ কোন জরিপ ছাড়াই রাজধানীতে মাত্র ১২টি স্থানে আরএফআইডি স্টেশন স্থাপন করা হয়। ফলে এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হয়েছে ব্যর্থ। গাড়ি চুরির বিষয়ে বিআরটিএ কোন তথ্য পায় না বললেই চলে। এ অবস্থায় ডিজিটাল নম্বর প্লেট বাবদ প্রায় ৫ হাজার টাকা করে আদায়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গাড়ির মালিকরা। গাড়ি মালিকেরা বলেন, রেজিস্ট্রেশন বাবদ প্রচুর টাকা নিচ্ছে। কিন্তু এত টাকা দিয়ে আমরা এর কোন ফল পাই না। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে এর কোন সংযুক্তি না থাকায় গাড়ি চুরি প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে জানান বিভাগটির যুগ্ম কমিশনার।
×