ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ছবির গল্প ॥ ‘কুখ্যাত’ সেই বাঘ মন্দির

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

ছবির গল্প ॥ ‘কুখ্যাত’ সেই বাঘ মন্দির

বাঘ দেখার জন্য সবাই চিড়িয়াখানায় যায় অথবা যায় অভয়ারণ্যে। কিন্তু মন্দিরে বাঘ দেখতে যায়, তাও আবার টাকা দিয়ে এমন শুনেছেন কি? থাইল্যান্ডের এক মন্দির কিন্তু বাঘের জন্য বিখ্যাত এবং কুখ্যাতও। থাইল্যান্ডের কাঞ্চনাবুরি প্রদেশের একটি বৌদ্ধ মঠে ১৩৭টি বাঘ ছিল। ২০০১ সাল থেকে সেখানকার বাঘগুলো সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল সরকার, যা চলতি মাসে সফল হয়েছে। বিশ্বজুড়ে যেখানে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, সেখানে এই মন্দিরে একসাথে এত বাঘ থাকার বিষয়টি অবাক করার মতোই। সেখানে এই বাঘগুলোর দেখভালের ওপর সরকারেরও কিন্তু কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না! আপনি বাঘের সাথে সেলফি তুলতে চান? ‘বাঘ মন্দিরে’ এটা কোনো ব্যাপারই ছিল না। অর্থ দিলেই মিলতো সেই সুযোগ। কিন্তু একটা জলজ্যান্ত বাঘ আপনার দিকে ফিরেও চাইছে না তা কী করে সম্ভব? সেটাই এখন পরীক্ষা করে দেখছেন প্রাণী চিকিৎসকরা। ধারণা করা হচ্ছে, এদের একধরনের ওষুধ দিয়ে নিস্তেজ করে রাখা হতো। চীন আর মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশে বাঘের হাড় দিয়ে বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করা হয়, এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ। সাধারণ মানুষের ধারণা, এই ওষুধ গ্রহণ করলে যে কোনো পুরুষ বাঘের মতো যৌনশক্তির অধিকারী হয়। এই ওষুধ বানানোর জন্যই কি ঐ মন্দিরে বাঘদের পোষা হতো এবং বাঘ মেরে ফেলা হতো? এটারই তদন্ত চলছে এখন। এমনকি ধারণা করা হচ্ছে বাঘ পাচারও হতো ঐ মন্দির থেকে। চলতি মাসে ঐ মন্দিরে অভিযান চালিয়ে ৪০টি ব্যাঘ্র শাবক, অর্থাৎ বাঘের বাচ্চার মৃতদেহ ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। কেবল বাঘ নয়, থাইল্যান্ডের বাজারে আরও অন্য বন্য প্রাণীর অঙ্গপ্রতঙ্গ দিয়ে বানানো ওষুধ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে এমন কিছু পাখি, পোকামাকড় ও সাপ রয়েছে যেগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। মন্দিরে এমন কিছু প্রাণীর দেহাবশেষও পাওয়া গেছে। মন্দির থেকে উদ্ধার করা ১৩৭টি বাঘকে অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। বাঘদের জন্য এটা সুসংবাদই বটে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে
×