ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে জিতল লাঙ্গল

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

রংপুরে জিতল লাঙ্গল

স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর ॥ রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের শহরে মোস্তফাই নির্বাচিত হলেন নগরপিতা। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুকে ৯৮ হাজার ৮৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সিটির ১৯৩ কেন্দ্রের সবগুলো বেসরকারী ফলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪শ’। বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা ধানের শীষ প্রতীকে ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। সারাদিনই ভোটের পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। ১৯৩ কেন্দের মধ্যে কোন কেন্দ্রেই গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। ভোটাররাও নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচন নিয়ে কোন অভিযোগ করেননি। এমনকি বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীরাও ভোট প্রদান শেষে পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিকে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনে ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ ভোট পড়েছে। জয় নিশ্চিত হওয়ায় রংপুরবাসীকে সুন্দর নগরী উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নগরপিতা জাপা প্রার্থী মোস্তফা। তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করায় তিনি নগরবাসীকে অভিনন্দন জানান। বলেন, এ বিজয় রংপুরবাসীর। তাকে মনোনয়ন দেয়ায় চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অপরদিকে কারচুপির অভিযোগে ফল প্রত্যাখ্যান করেন বিএনপি প্রার্থী বাবলা। বৃহস্পতিবার নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। সারাদিনই ভোটের পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। ১৯৩ কেন্দের মধ্যে কোন কেন্দ্রেই গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। ভোটাররাও নির্বিঘেœ ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচন নিয়ে কোন অভিযোগ করেননি। এমনকি বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীরাও ভোট প্রদান শেষে পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিকে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনে ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ ভোট পড়েছে। সকাল থেকেই বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসবের আমেজে ভোট প্রদান করেছেন রংপুর সিটির ভোটাররা। এতটা শান্তিপূর্ণ ভোট নিকট অতীতে দেখেননি রংপুরবাসী। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন। সিটির ১৯৩ কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছিল। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রচ- শীত আর হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ছিল ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি। ভোটাররা নিরাপদে-নির্বিঘেœ তাদের পছন্দের মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত করতে ভোট দিতে পেরে খুশি। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি। সকালের দিকে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও সকাল দশটার পর থেকে ভোটার উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। ভোটাররা এবার ভয়ভীতি বা কোন ধরনের শঙ্কা অনুভব করেননি। বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ। বিরতি ছাড়াই বেলা চারটা পর্যন্ত চলে। সিটি কর্পোরেশন ঘোষণার পর দ্বিতীয়বাবেরর মতো এ সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। সকাল থেকে নারী-পুরুষ একযোগে ভোট প্রদান করেন। এ সময় তাদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে। নির্বাচনে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয় । উৎসবের আমেজে ভোটাররা ভোট প্রদান করেন। ভোটারদের মধ্যে যেমন ছিলেন বয়স্করা তেমনি তরুণ ভোটারের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্য করার মতো। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের খাসবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন শামিম পারভেজ। ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছি। মাহিগঞ্জ বালক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সকাল থেকেই ছিল নারীদের দীর্ঘ লাইন। সেখানে অপেক্ষমাণ শাহনাজ পারভীন রেশমার ভোট দেয়ার জন্য এগারোটায় এসেছি। বারোটা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ভোটের পরিবেশে তিনিও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ নির্বাচনে তরুণদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। বাবুখাঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একসঙ্গে ভোট দিতে আসেন পাঁচ তরুণ। এটাই তাদের প্রথম ভোট দেয়া। তাদেরই একজন বলেন, প্রথম ভোট দিলাম। খুব ভাল লাগছে। রংপুর সিটি ভোট নিয়ে কোন প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা না হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে দলের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বিএনপির এসব অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গেই নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটদানে বাধা দেয়ার বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ সঠিক নয়। রংপুরের নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতিতে সিইসি সন্তোষ প্রকাশ করেন। বলেন, ভোটাররা কোন ধরনের অভিযোগ করেননি। গণমাধ্যমও কাজ করছে। ভোটদানে বাধা দেয়ার কোন অভিযোগ আসেনি। এদিকে রংপুর সিটি নির্বাচন শেষে এক আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রংপুর সিটিতে মডেল নির্বাচন হয়েছে। তিনি জানান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে ইটপাটকেল মারার ঘটনা ঘটেছিল। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইসি যথাযথ ভূমিকা রাখতে পেরেছে। ভবিষ্যতে আরও ভাল নির্বাচনের আয়োজন করতে পারব বলে আশা করি। তিনি বলেন, প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এদিকে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, রংপুর? সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। পোলিং এজেন্টদের নির্বাচন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া তিনি বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনে ইসি ব্যর্থ হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি নজিরবিহীনভাবে কম ছিল বলেও উল্লেখ করেন। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনে রাজনৈতিক বিজয় হয়েছে। নির্বাচনের ফলকে গণতন্ত্রের বিজয় হিসেবে দেখছি। জাতীয় নির্বাচনের আগে রংপুর সিটি নির্বাচন বিএনপির জন্য একটা মেসেজ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে নির্বাচনে সাধারণ ভোটারের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে কোথাও বিএনপির এমন অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোটারদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট নিয়েছেন তারা। পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর ছিল। এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন প্রায় চার লাখ। তার মধ্যে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৪৬ শতাংশ ভোট পড়ার কথা উল্লেখ কনেন তিনি। বলেন, শেষ পর্যন্ত ভোটদানের হার ৭০ শতাংশ হতে পারে। এদিকে পর্যবেক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকেও এ নির্বাচন নিয়ে তাদের সন্তষ্টির কথা জানানো হয়েছে। পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ফেয়ার ইলেকশন এলায়েন্সের (ফেমা) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য প্রদীপ কুমার পাল দুপুরে বলেন, আমরা যেসব কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি এবং কেন্দ্রের বুথে বুথে গেছি তাতে নির্বাচন স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে দেখেছি। ইসির কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমাদের তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছিল। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশী চেকপোস্ট বসানো ছিল। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল সিটি কর্পোরেশন। প্রভাব বিস্তার ও কেন্দ্র দখলসহ কোন ধরনের অরাজকতার খবর পাওয়া যায়নি । পাশাপাশি দুটি কেন্দ্রের জন্য ছিল পুলিশ, বিজিবি র‌্যাবের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ ইউনিট। এ ছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও ছিলেন। জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটসহ সব স্তরের কর্মকর্তারা সর্বক্ষণিক মাঠে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। এদিকে মেয়র পদের প্রার্থীরা নির্বাচন নিয়ে তাদের সন্তষ্টির কথা জানান। এ সময় তারা নির্বাচনের জয়ের বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিটি নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদও রংপুরে ছুটে যান দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রদান করতে। সকাল নয়টা ৩৭ মিনিটের দিকে তিনি সেনপাড়ার শিশুমঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। এরপর বুথ থেকে বের হয়ে তিনি ভি চিহ্ন দেখান। পরে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোন শঙ্কা নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের প্রথম টেস্ট। এর মাধ্যমে তাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ হবে। লোক দেখানোর জন্য হলেও তারা এটা অবাধ ও সুষ্ঠু করবে। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনে লাঙ্গলের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করব। সকাল নয়টার দিকে গুপ্তপাড়ার সালেমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সরফুদ্দিন আহামেদ ঝন্টু জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বলেন ভোট শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা নগরীর আলমগর কলেজ রোড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন। এ সময় তিনিও নির্বাচনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বিজয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা মাহীগঞ্জের দেয়ানটুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর বলেন, ভোটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভাল। এভাবে যদি ভোট গ্রহণ চলে ফল ভাল হবে। সিটি কর্পোরেশন গঠনের পর দ্বিতীয়বাবের মতো ভোট অনুষ্ঠিত হলো রংপুর সিটিতে। তবে এবারই প্রথম দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ রাজনৈতিক দলের ৭ প্রার্থী অংশ নেন। এছাড়া ৩৩ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২১১ এবং সংরক্ষিত ১১ নারী আসনের ৬৫ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪। মোট ১৯৩ ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৭ গোপন কক্ষে ভোট প্রদান করেন ভোটাররা। নির্বাচনে কমিশনের পক্ষ থেকে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থ গ্রহণ করা হয়। একটি কেন্দ্রে সফলভাবে ইভিএমে ভোট গ্রহণ, ১৩ মিনিটে ফল প্রকাশ ॥ রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শুধু একটি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার ১৩ মিনিটেই ফল প্রকাশ করেছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। ইভিএমএ ভোট দিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সন্তুষ্টি ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অধিকাংশ ভোটার। এ পদ্ধতিতে ভোটদান অত্যন্ত সহজ, কম সময় সাপেক্ষ এবং রোমাঞ্চকর বলে উল্লেখ করেন ভোটাররা। নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪১ নম্বর সরকারী রোকেয়া কলেজ কেন্দ্রের ছয়টি বুথে ইভিএমে ভোট হয়েছে। ওই ছয় বুথে ভোটার রয়েছেন এক হাজার ৫৯। এ কেন্দ্রে নিউ শালবন ও শালবন এলাকার ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। এর আগে বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম পরীক্ষামূলক ব্যবহার হলেও রংপুরে এবারই প্রথম এর ব্যবহার হলো। এ কেন্দ্রে জাপা প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৬৭৪ ভোট, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সাবেক মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু(নৌকা) পেয়েছেন ৩০৪ ভোট, বিএনপি প্রার্থী (ধানের শীষ) কাওসার জামান বাবলা পেয়েছেন ১১৭ ভোট। এ কেন্দ্রে মোট ভোট ২২০০, ভোট দিয়েছেন ১২১২ ভোটার। ভোট পড়েছে ৬১.৭২।
×