ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোলে অপ্রীতিকর ঘটনা ॥ প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ধর্মঘট

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

বেনাপোলে অপ্রীতিকর ঘটনা ॥ প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ধর্মঘট

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ তুচ্ছ ঘটনায় বেনাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের মধ্যে মারামারি ও ভাংচুরের সময় ৫ কাস্টমস কর্মকর্তা আহত হওয়ার প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করছেন বেনাপোল কাস্টমসের কর্মকর্তারা। এজন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এদিন দুপুরে বেনাপোলে মিছিল করেছেন। কাস্টমস অফিসার্স এসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা ভারত থেকে ২ জন ল্যাগেজ পার্টি নিয়ে বিনা তল্লাশিতে কাস্টমস পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তাদের বাধা দিলে পুলিশ ও কাস্টমস সদস্যদের মধ্যে বাকবিত-া শুরু হয়। এ অবস্থায় ইমিগ্রেশন ওসি ওমর শরীফের নেতৃত্বে ৪/৫ জন পুলিশ এসে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায় এবং অফিস ভাংচুর করে। পুলিশের হামলায় সুপারিনটেনডেন্ট সুভাশিষ বাবু, সুপারিনটেনডেন্ট নজরুল ইসলাম বাঙালী, ইন্সপেক্টর ফরহাদ রেজা, ইন্সপেক্টর মামুনুল হক ও ইন্সপেক্টর ইকবাল হোসেন আহত হন। এ হামলার প্রতিবাদে কাস্টমস অফিসার্স এসোশিয়েশন দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দর থেকে সবধরনের মালামাল খালাশ বন্ধ করে দেয়।তবে বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি ওমর শরীফ জানান, সন্ধ্যায় তিনি পাসপোর্ট যাত্রীদের খোঁজখবর নিতে কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রে যান। এ সময় সেখানে কর্মরত কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। এ নিয়ে কাস্টমস ও পুলিশ ইমিগ্রেশন সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এমনটি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় মারামারিতে অংশ নেন বেনাপোল পোর্ট থানার দারোগা হাবিব। তিনি কাস্টমস কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করেন। তবে এ ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি যশোরে ছিলেন। পরিস্থিতি নিরসনে বুধবার সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন অফিসে পুলিশ ও কাস্টমস-এর উর্ধতন কর্মকর্তারা বৈঠক করলেও সমাধান হয়নি। এজন্য কাস্টমস কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
×