ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল যুগেও চবিতে হাতে লেখা প্রশ্নে পরীক্ষা

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

ডিজিটাল যুগেও চবিতে হাতে লেখা প্রশ্নে পরীক্ষা

চবি সংবাদদাতা ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার যখন পরিশ্রম করে চলেছে, ঠিক তখনই যেন সনাতনী পথে হাঁটার চর্চায় নেমেছে চবির এই বিভাগটি। এমনকি নীতিমালার দোহাই দিয়ে ফাইনাল পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে হাতে লেখা প্রশ্নে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬-১৭ ব্যাচের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ২০১৭ সালের নবেম্বর মাসের ১৬ তারিখে। এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে ৭টি পরীক্ষা। প্রতিটি প্রশ্নপত্রই হাতে লিখে ফটোকপি করা। এর মধ্যে আবার ইংরেজী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এতই অস্পষ্ট যে, কোথাও কোথাও বুঝতেই কষ্ট, সেখানে আসলে কী লেখা রয়েছে ? কয়েক শিক্ষার্থী জানালেন, ইংরেজী পরীক্ষায় অস্পষ্টতার কারণে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্নই বুঝতে পারেননি তারা। পরে জানা গেল, শুধু প্রথম বর্ষ নয় দীর্ঘকাল ধরেই হাতে লেখা প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে বিভাগটিতে। তৃতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বললেন, তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়াশুনা করে মাত্র কয়েকটি পরীক্ষাই দিয়েছি প্রিন্টেড প্রশ্নে। অধিকাংশ পরীক্ষা দিয়েছি হাতে লেখা প্রশ্নে। এদিকে, বিষয়টি কোন কোন শিক্ষার্থীর কাছে লজ্জার, কোন কোন শিক্ষার্থীর কাছে একদম স্বাভাবিক। যেন এছাড়া অন্য কিছু তারা কল্পনাই করতে পারেন না। তাই চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী লজ্জায় পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বসলেন। বললেন, আমি এ পর্যন্ত কোন পরীক্ষাই হাতে লেখা প্রশ্নে দেইনি। কোন কোন শিক্ষকের কাছেও বিষয়টি একদম স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। খোঁজ নিতে গেলে এক শিক্ষক আশ্চর্য হয়ে বললেন, এটাতো দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। তিনি আরও বললেন, কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক টাইপ করতে জানেন না, তাই এই ব্যবস্থা। অথচ এ পর্যন্ত প্রথম বর্ষে অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষার প্রতিটি প্রশ্নপত্রই ছিল হাতে লেখা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি সাবিনা নার্গিস লিপি বলেন, এসব নীতিমালায় আছে।
×