ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সম্প্রসারিত হচ্ছে বগুড়া বিমানবন্দরের রানওয়ে

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

সম্প্রসারিত হচ্ছে বগুড়া বিমানবন্দরের রানওয়ে

সমুদ্র হক, বগুড়া ॥ বগুড়া বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করা হয়েছে বাড়তি রানওয়ে নির্মাণের পর বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের আওতায় ডমেস্টিক উড়োজাহাজ টেকঅফ ও ল্যান্ডিংয়ের (উড্ডয়ন ও অবতরণ) জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে বগুড়া বিমানবন্দর ও রাডার স্টেশন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অধীনে রয়েছে। প্রশিক্ষণের ছোট বিমান ওঠানামা করে। বগুড়া বিমানবন্দর নির্মাণ কাজ শুরু হয় নব্বইয়ের দশকের শুরুতে। তৎকালীন বিএনপি সরকার নির্মাণ কাজ শেষ করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর বগুড়া বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ করে। কথা ছিল এই বিমানবন্দরে ডমেস্টিক ফ্লাইট ওঠানামা করবে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতার আসার পর বগুড়া বিমানবন্দর ও রাডার স্টেশন বিমান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের ওঠানামা শুরু হয়। দিনে দিনে সড়ক ও রেলপথে বগুড়া-ঢাকা-বগুড়া যোগাযোগে যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত চাপে বগুড়া বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ (ডমেস্টিক) ফ্লাইট অতি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মধ্য নগরী বগুড়া দিনে দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য ও মার্কেটের নগরীতে পরিণত হওয়ায় বগুড়া-ঢাকা-বগুড়া ডমেস্টিক ফ্লাইট চালু হলে তা যে লাভজনক হবে এই বিষয়টি বগুড়ার সুধীজন ও ওপর মহলে আলোচিত হয়। এই অবস্থায় চলতি বছরের শুরুতে সরকার বগুড়া বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে উভয় প্রান্তে আরও তিন হাজার ফুট সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়। এই বিষয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, বগুড়া বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়তি রানওয়ে নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনা ও ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদনের চিঠি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মিলিটারি এস্টেট অফিসারের কাছে পাঠাবে। সেখান থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি আসার পর ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হবে। তারপর বাড়তি রানওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সম্প্রসারিত রানওয়ে নির্মিত হওয়ার পর বর্তমানে বিমান বাহিনীর অধীনে থাকা বিমানবন্দরে ডমেস্টিক ফ্লাইট টেকঅফ ও ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি চাইবে সিভিল এভিয়েশন। জেলা প্রশাসক আশা প্রকাশ করেছেন, রানওয়ে সম্প্রসারণের পর ডমেস্টিক ফ্লাইট ওঠানামার বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে সহজ হবে। বগুড়া বিমানবন্দরে ডমেস্টিক ফ্লাইট শুরু হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোরে উড়োজাহাজ চলাচলের আকাশ পথ উন্মুক্ত হবে।
×