ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কৈলাশ প্রসাদ গুপ্ত

একটি প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

একটি প্রস্তাব

মিনতী বালা, ৮ বছর বয়স, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। লাশ ফুলবাড়ী হাসপাতালে। তার মা বিলাপ করছে। ওয় কিসের বাপ? জন্মের পর থেকে একটা শিকোই (কোমরে পরা লাল বা কালো সুতা) পর্যন্ত দেয়নি। সড়ক দুর্ঘটনায় মিনতী বালা মারা গেছে। ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে। এ খবর মিনতী বালার বাবাকে দেয়া হয়েছে এবং তাকে অভিভাবক হিসাবে হাজির করা হয়েছে। সে মিনতী বালার জন্মের পর থেকে কোন খোঁজখবর নেয়নি। তাই তার স্ত্রী মেয়ের শোকে বিলাপ করে এ কথাগুলো বলছিল। বাস চালক ও মালিক সমিতি সুযোগ পেয়ে গেল। আগে নিজেরাই ঠিক করুক কে মিনতী বালার প্রকৃত অভিভাবক? ক্ষতিপূরণের টাকা কাকে দেয়া হবে? এভাবেই দরিদ্র, মূর্খরা কোন ক্ষতিপূরণ পায় না। শেষ পর্যন্ত ভগবানের হাতে ছেড়ে দেয়। এর বিচার ভগবানেই করবেন। তাদের দাফন-কাফন হয় রাস্তায় চলাচলরত ট্রাক ও বাসের চালকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে। এই চাঁদার টাকার ভাগ আবার অনেকেই পায়। আমার একটি প্রস্তাব সড়ক দুর্ঘটনায় যে ব্যক্তির মৃত্যু হবে বা পঙ্গু হবে তার পরিবারকে ওই ড্রাইভারকে কমের পক্ষে ১৮ বছর তার পরিবারকে চালাতে হবে। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনার জন্য যারা যারা দায়ী তাদের প্রত্যেককেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সে যত বড় শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ হোক না কেন? এই দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ফুলবাড়ী, দিনাজপুর থেকে
×