ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তীব্র শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরাঞ্চল

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

তীব্র শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরাঞ্চল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৌষের শুরুতেই তীব্র শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরাঞ্চল। গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা ও কনকনে শীতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। বেড়েছে শীতল বাতাসের প্রবাহ। সর্দি, কাশি, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র শীতে ছিন্নমূল ও গরিব মানুষের কষ্টের সীমা নেই। বেড়েছে শীতবস্ত্রের দাম। দেশের অনেক এলাকায় দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা বিরাজ করাতে স্বাভাবিক যান চলাচল হচ্ছে ব্যাহত। রাজধানীতে সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে মাঝারি ধরনের শীত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘন কুয়াশা, দিনের তাপমাত্রা হ্রাস এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে না নামলেও দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য হ্রাস পেয়েই চলেছে। এই পার্থক্য যতই হ্রাস পাবে শীতের তীব্রতা ততই বৃদ্ধি পাবে। গ্রামাঞ্চলে ঘন কুয়াশায় উপরে উঠতে পারছে না জলীয় বাষ্প। শিশির ভেজা মাটি শুকিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। মাঝেমধ্যে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও উত্তাপ থাকে না। দিনের অধিকাংশ সময় কুয়াশার চাদরে মোড়ানো থাকে আকাশ। এমন অবস্থা জানুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। এক পর্যায়ে বয়ে যেতে যেতে পারে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। ওই সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। তিন দিন ধরে রাজধানীতেও অনুভূত হচ্ছে মাঝারি ধরনের শীত। বুধবার কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের আলোর দেখা পেলেও তেমন তেজ ছিল না। বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ও মাঝারি ধরনের শীত অনুভূত হয়। নগরীর গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ করা গেছে। চড়া দামে বিক্রি হয় গরম কাপড়। রাস্তার ধারে চা খাওয়া লোকের সংখ্যাও বেড়ে যায়। দিনের বেলাতেও প্রত্যেক মানুষের শরীর ছিল গরম কাপড়ে ঢাকা। মাঝেমধ্যেই বয়ে যায় ঠান্ডা বাতাস। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা যেন বাড়তে থাকে। কমতে থাকে পথচারীদের সংখ্যাও। এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কক্সবাজারে ২৯.৬ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুর ও তেঁতুলিয়ায় ১১.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। ডিসেম্বরে বাংলাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২টি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে।
×