ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানের জন্য কানাডা থেকে উড়োজাহাজ কেনা হবে

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

বিমানের জন্য কানাডা থেকে উড়োজাহাজ কেনা হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য কানাডা থেকে তিনটি নতুন উড়োজাহাজ কেনা হবে। উড়োজাহাজগুলো কেনার জন্য কানাডা সরকার ঋণও দেবে। ৭০ থেকে ৮০ আসনবিশিষ্ট টার্বোপ্রপ (ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০এনজি) উড়োজাহাজগুলো সরাসরি ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বা জিটুজি ভিত্তিতে কেনা হবে। এ জন্য কোন টেন্ডার দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এ ধরনের উড়োজাহাজের একমাত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কানাডার ‘বম্বারডিয়ের ইঙ্ক’ এগুলো সরবরাহ করবে। এছাড়া অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনে আসা অতিথিদের যাতায়াতের জন্য মার্সিডিজ-বেঞ্জ (এস ক্লাস) বিএমডব্লিউ-৭ সিরিজের ৩০টি গাড়ি আমদানি করা হবে। আগামী বছরের ৫ ও ৬ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছ। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ওই বৈঠকে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয়পর্যায়ে (জিটুজি) সরাসরি ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই উড়োজাহাজ তিনটি ক্রয় করা হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান ‘কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কো-অপারেশন’ (সিসিসি)-এর সঙ্গে চুক্তি করবে। পাশাপাশি উড়োজাহাজ ক্রয়ে কানাডা সরকারের প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কানাডা’ (ইডিসি) থেকে বাংলাদেশ বিমানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। জানা যায়, বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিমানের বহরে মোট ১৩টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি বিমান নিজস্ব, অপর ৭টি ভাড়ায় সংগৃহীত। বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজের মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ রয়েছে। ভাড়ায় সংগৃহীত উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে একটি অভ্যন্তীণ রুটে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, সৈয়দপুর, যশোর, বরিশাল ও কক্সবাজার) এবং একটি আন্তর্জাতিক রুটে (ঢাকা, কলকাতা, কাঠমান্ডু, ইয়াংগুন) ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব রুটে বেশি যাত্রী সেবার সুযোগ থাকায় বাংলাদেশ বিমানের বহরে দীর্ঘ মেয়াদে নিজস্ব উড়োজাহাজ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে সংস্থাটি। এদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান স্বাক্ষরিত ওই প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে আসা অতিথিদের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবহন সুবিধা প্রদানে ৩০টি মার্সিডিজ বেঞ্জ (এস ক্লাস)/বিএমডব্লিউ-৭ সিরিজের গাড়ি আমদানি প্রয়োজন। গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় ক্রয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন রয়েছে। সম্মেলনে ব্যবহারের পর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব গাড়ি ভবিষ্যতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত ভিভিআইপি অতিথিদের ব্যবহারের জন্য পাঁচটি গাড়ি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং অবশিষ্ট গাড়িগুলো সরকারী পরিবহন পুলে হস্তান্তর করা হবে। যেহেতু প্রস্তাবিত গাড়িগুলো বিশেষভাবে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ও সরকারী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বিবেচ্য, সেহেতু গাড়িগুলো ক্রয়ে শুল্ক অব্যাহতি প্রদান যুক্তিযুক্ত। প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারী যানবাহন অধিদফতরের অনুকূলে সংশ্লিষ্ট কোডে বরাদ্দ করা অর্থে গাড়িগুলো আমদানি করা যেতে পারে।
×