ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘ভিত্তিহীন তথ্য দেয় না’

দ্রুততম সময়ে উকিল নোটিস প্রত্যাহার না করলে আইনী ব্যবস্থা ॥ আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

দ্রুততম সময়ে উকিল নোটিস প্রত্যাহার না করলে আইনী  ব্যবস্থা ॥ আওয়ামী লীগ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো উকিল নোটিস প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঠানো উকিল নোটিস প্রত্যাহার করা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে পাঠানো ওই উকিল নোটিসের জবাব দিতে আওয়ামী লীগ বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সংবাদ সম্মলনে দলের সভাপতিম-লীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার এ উকিল নোটিস পাঠানোর মানে হচ্ছে, ‘চোরের মার বড় গলা।’ জিয়াউর রহমানের পুরনো প্যান্ট কেটে তারেক রহমানের প্যান্ট বানিয়েছিল, খালেদা জিয়া এটি বিটিভিতে বহুদিন প্রচার করেছে। ভাঙা স্যুটকেস ছাড়া নাকি জিয়ার কিছুই ছিল না! সেই জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক রহমান বিদেশের মাটিতে কীভাবে জীবনযাপন করছেন, তার তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত হওয়া দরকার বিএনপি আমলের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আইনি নোটিস দিয়েছে। আমরা আইনগতভাবেই বিষয়টি মোকাবেলা করব। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তথ্যপ্রমাণ ছাড়া ভিত্তিহীন কোন তথ্য প্রচার করে না। আওয়ামী লীগ কোনদিন কোন বানোয়াট কথা বলে না, ভিত্তিহীন তথ্য দেয় না। লিখিত বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেত্রী এবং তাঁর দুই পুত্রের দুর্নীতির খবর এখন বিশ্বস্বীকৃত। বিদেশের আদালতেও খালেদা জিয়ার দুই পুত্রের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে সাজা দিয়েছে। তারেক রহমানের হাওয়া ভবন ছিল বিএনপি সরকারের মধ্যকার আরেক সরকার। দেশী-বিদেশী কোম্পানিকে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দিতে হাওয়া ভবন থেকেই হাজার হাজার কোটি টাকা কমিশন আদায় করা হতো। খালেদা জিয়ার দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার অর্থ পাচারের খবর বিশ্ব মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার দুর্নীতি সম্পর্কে মন্তব্য করেন। প্রচারিত একটি বিষয়ে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে অবহিত করেছেন মাত্র। হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যখন সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছেন, ঠিক তখনই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন। মিডিয়াকে প্রভাবিত করতেই খালেদা জিয়ার এ কৌশল বলে মনে করি। এতে শেষ রক্ষা হবে না খালেদা জিয়ার। এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের কাছে অবশ্যই খালেদা জিয়ার দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ আছে। তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইনে এই বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। আর উকিল নোটিস এখনও আমাদের কাছে আসেনি। গণমাধ্যম থেকে আমরা নোটিসের বিষয়টি জেনেছি। নোটিস পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন, তাতে জনগণের দৃষ্টিকে সরানো যাবে না। তিনি অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো উকিল নোটিস প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, হারুন-অর-রশিদ, এ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, মারুফা আক্তার পপিসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×