ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় শ্মশানের জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭

নেত্রকোনায় শ্মশানের জমি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ১৯ ডিসেম্বর ॥ সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের বাংলা গ্রামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানঘাটের জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার ৬শ ৪৭ নারী-পুরুষ ওই দখলদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, বাংলা গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় বংশ পরম্পরায় বাংলা রেলস্টেশন সংলগ্ন ৬৬ শতক রেলওয়ের পরিত্যক্ত জমি শ্মশানঘাট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ওই গ্রামের শাহ্জাহান কবির নামে এক ব্যক্তি (বর্তমানে তিনি রেলওয়ের গেট কিপার) রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং রেলওয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে শ্মশানঘাটের বেশিরভাগ জায়গা দখল করে নেন। দখলের পর ওই জায়গাটিতে একাধিক ঘর নির্মাণ করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন। এছাড়া শ্মশানের একটি বটগাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। কিছু জমি অবৈধভাবে অন্যের কাছেও হস্তান্তর করেছেন বলে জানান অভিযোগকারীরা। বর্তমানে শ্মশানের জন্য সামান্য যে জায়গাটুকু অবশিষ্ট আছে সেটিও দখলে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন তিনি। শ্মশানের চারপাশে প্রাচীর নির্মাণের কারণে জায়গাটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। জলাধার দখল করে নেয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অভিযোগকারীরা জানান, এলাকাবাসী শাহজাহান কবিরকে নিয়ে কয়েকবার সমঝোতা বৈঠকে বসলেও তিনি সবার সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করেন। বৈঠকে কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এ ব্যাপারে শাহজাহান কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘আমি শ্মশানের কোন জায়গা দখল করিনি। তবে শ্মশানের পাশের কিছু জায়গা ১৯৯৯ সালে রেলবিভাগ থেকে বন্দোবস্ত এনেছি’। এ প্রতিনিধিকে তার বন্দোবস্তের বৈধ কাগজপত্র দেখানোর কথা দিয়েও তিনি তা দেখাননি। তার বিরুদ্ধে এলাকার অনেকের জমি দখলেরও অভিযোগ মিলেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার প্রক্রিয়া চলছে। অথচ সমস্যা সমাধানের কোন উদ্যোগ নেননি তিনি। অভিযোগকারীরা জানান, শাহজাহানসহ কতিপয় ব্যক্তি এ বিষয়টিকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তাই বংশ পরম্পরায় ব্যবহৃত এ শ্মশানের জায়গাটি দখলমুক্ত করার জন্য রেল বিভাগসহ স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
×