ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ০-১ ঢাকা আবাহনী

সানডের গোলে স্বস্তির জয় ঢাকা আবাহনীর

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭

সানডের গোলে স্বস্তির জয় ঢাকা আবাহনীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এবার ঢাকা আবাহনীর সামনে চ্যালেঞ্জ চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি। ট্রফি ধরে রাখতে শেষ রাউন্ডের ম্যাচগুলোতে তাই জয়ের বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে ১৮তম রাউন্ডের ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে আকাশী জার্সিধারীরা। তবে জয় পেতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে নাসির, জীবন, সানডেদের। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগের ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী। দলের পক্ষে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। লীগের প্রথমপর্বে আরামবাগকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচে বেশ কয়েকটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করায় জয়ের ব্যবধান বড় করতে পারেনি আলী ইয়াকুবের দল। ন্যূনতম গোল হলেও আরামবাগ কখনই ভীতি ছড়াতে পারেনি আবাহনী শিবিরে। বলা যায়, আরামবাগের বিরুদ্ধে আয়েশী জয়ই পেয়েছে চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা আবাহনী। তারা পেছনে ফেলেছে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে। ১৮ ম্যাচ শেষে আবাহনীর পয়েন্ট ৪২। মুক্তিযোদ্দার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ১৭ খেলায় ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচটি জিতলে বন্দর নগরীর ক্লাবের ঝুলিতে জমা হবে আরও তিন পয়েন্ট। ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে নেমে গেছে শেখ জামাল। তবে আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারালে আবারও দুই নম্বর স্থান ফিরে পাবে জামাল। অন্যদিকে আগের ১৫ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে অবস্থান মতিঝিলের ক্লাব আরমবাগের। ম্যাচের শুরু থেকে একতরফা আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ঢাকা আবাহনী। কিন্তু জীবন, সানডেদের অমার্জনীয় ব্যর্থতায় গোলের দেখা পাচ্ছিল না চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধেই বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে তারা। ম্যাচের সপ্তম ও দশম মিনিটে যথাক্রমে জীবন ও সানডে সহজ গোল মিস করেন। এরপর গোল মিসের মহড়ায় যোগ দেন আরেক ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়াও। বিশেষ করে ৩৫ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের ফ্রিকিকে সানডে চিজোবার হেড ফিরিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন আরামবাগ গোলরক্ষক আজম খান। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে আর আটকে রাখা যায়নি চ্যাম্পিয়নদের। ৪২ মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভুলে এগিয়ে যায় আবাহনী। ইমন মাহমুদের বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙ্গে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে সহজে পরাস্ত করেন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে (১-০)। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ঢাকা আবাহনী। বিরতির পরও প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন ইয়াকুবের শিষ্যরা। তবে এ অর্ধেও গোল মিসের মহড়ায় ব্যস্ত থাকেন চ্যাম্পিয়ন দলের ফুটবলাররা। খেলার ধারার বিপরীতে মাঝে মধ্যেই পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে আরামবাগ। এর মধ্যে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ আসে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে। কিন্তু সুযোগটি নষ্ট করেন আরামবাগের বদলি হিসেবে নামা নাইজিরিয়ান বুকোলা ওলালেকাউ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মারেন তিনি। ৬০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আবাহনীর নাবিব নেওয়াজ জীবন। সংঘবদ্ধ আক্রমণে ডি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েও বারপোস্ট উঁচিয়ে মারেন এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৭০ মিনিটে আবারও গোল মিস করে আবাহনী। রুবেল মিয়ার ক্রস থেকে সানডে চিজোবার হেড সাইড পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ৮৫ মিনিটে আবাহনী আরামবাগের জালে আরেকবার বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল করে দেন রেফারি ভুবন মোহন তরফদার। পরের মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েও বারপোস্টের অনেক ওপর দিয়ে মারেন জীবন। আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড একাই ম্যাচে চার থেকে পাঁচটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। তা না হলে হয়তো জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো দলটির। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তেও আরেকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে ঢাকা আবাহনী।
×