ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিপক্ষ ভারত

ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭

 ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

রুমেল খান ॥ যেমনটা ভাবা হয়েছিল, হয়েছে ঠিক তেমনটাই। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সাফ অ-১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ এবং ভারত। মঙ্গলবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল ‘প্রায়’ নিশ্চিত করে রাখে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ১০-০ গোলে নেপালকে হারিয়ে দিলে ফাইনাল ‘পুরোপুরি’ নিশ্চিত হয় লাল-সবুজদের। কেননা নেপাল জিতলে নিজেদের শেষ লীগ ম্যাচে জিতে ফাইনালে যেতে হতো তাদের। যাহোক, হেরে বাংলাদেশের জন্য কাজটা সহজ করে দেয় হিমালয়ের দেশটি। তাদের হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ভারতও। ফাইনালের আগে আরেকটি ‘মহড়া ফাইনালে’ অবতীর্ণ হতে হবে বাংলাদেশ-ভারতকে। আগামী ২১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় তাদের মুখোমুখি হতে হবে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ লীগ ম্যাচে। যদিও এই ম্যাচটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার এবং গুরুত্বহীন ম্যাচ, তারপরও উভয় দলই ম্যাচটি নিয়েছে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে, জিততে চায় দু’দলই। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে এএফসি অনুর্ধ-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে ৪-০ গোলে পরাভূত করে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ভুটানকে হারানো ম্যাচে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন জোড়া গোল করে। অপর গোলটি করে বদলি ফরোয়ার্ড সাজেদা খাতুন। জিতলেও অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কারণ ম্যাচে ভুটান পুরোপুরি রক্ষণাত্মক খেলেছে। বয়সভিত্তিক ফুটবলে এর আগেও ভুটানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে এএফসি অনুর্ধ-১৪ গার্লস রিজিওন্যাল চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে ১৬-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শক্তিশালী ভারতকে হারানোর আনন্দই আলাদা। তাই বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে চান না। শেষ লীগ ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে তিনি তার সেরা দলটাকেই নামাতে চান। একই অভিমত ভারতের কোচ মায়মল রকিরও। ভারত-নেপাল ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে প্রিয়াঙ্কা দেবী নাওরেম এবং সুনীতা মান্দা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারত ৩-০ গোলে হারিয়েছিল ভুটানকে। আর নেপাল হেরেছিল বাংলাদেশের কাছে ০-৬ গোলে। ম্যাচ শেষে নেপালের কোচ গঙ্গা গুরং বলেন, ‘ভারত অনেক ভাল খেলেছে। ওরা অনেক শক্তিশালী ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। আমাদের দলের প্রায় সবাই নতুন ফুটবলার। একমাসের প্রস্তুতি ছিল আমাদের। তবে এত গোলে হেরেও আমরা অখুশি নই। কারণ আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছি। তবে বাংলাদেশের কাছে কম গোলে হারলেও তাদেরই বেশি বেটার দল মনে হয়েছে। কারণ তারা ফিজিক্যালি-ট্যাকটিক্যালি ভারতের চেয়ে এগিয়ে।’
×