ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আলোচনায় ২০ প্রার্থী ॥ ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর সন্ধানে দলগুলো ॥ লড়াই হবে বড় দুই দলের মধ্যে

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ

রাজন ভট্টাচার্য ॥ রাজনীতির মাঠে এবার আলোচনা ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন। প্রস্তুত রাজনৈতিক দলগুলোও। প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। তৎপর সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী। মনোনয়নের টিকেট পেতে চলছে জোর লবিং গ্রুপিংও। প্রার্থী হিসেবে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের নাম আলোচনায় আসছে। সব মিলিয়ে অন্তত ২০ জন প্রার্থীর নাম সামনের সারিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কারা পাবেন চূড়ান্ত মনোনয়নের টিকেট, তাই দেখার বিষয়। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপ-নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হবে। ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে দল এবং দলের বাইরে আওয়ামী লীগ সমর্থক একাধিক ভাল প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্য থেকে বিভিন্ন সংস্থার জরিপ এবং দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে ব্যক্তি জনগণের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য তাকে প্রার্থী করা হবে। দলীয় প্রতীকে সিটি নির্বাচন করার কথাও জানান কাদের। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ঢাকায় বিজয় নিশ্চিত করে জাতীয় নির্বাচনের শুভ সূচনা করতে চায় ক্ষমতাসীন দল। অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকার জয় দিয়ে প্রাক-নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকতে চায় মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। এছাড়া সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাঠের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে চায় বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দল। সব মিলিয়ে বড় দলগুলোর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিজেদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করা। দলগুলোর নেতাদের ধারণা, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচনের ফলাফল সারাদেশে প্রভাব ফেলবে। এরসঙ্গে যুক্ত হবে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফলও। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের সমর্থনে ওই নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় দুই বছর ধরে ওই দায়িত্ব পালনের মধ্যেই গত জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিসে আক্রান্ত আনিসুল হক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ নবেম্বর তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই ডিএনসিসি নির্বাচনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও সরব হন। তবে বড় দুই দলই সদ্য প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের মতো ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দেয়ার পাশাপাশি ফলাফল নিজেদের ঘরে তুলতে চায়। কে হচ্ছেন নতুন মেয়র। কে গ্রীন ঢাকা গড়ে তোলার কাজকে নির্মোহভাবে এগিয়ে নিতে পারবেন। কে শেষ করতে পারবেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজগুলো। সেসব নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। সরগরম গোটা রাজধানীর চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে রাজনীতির মাঠ। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার রাজনৈতিক তকমা না থাকলেও ক্লিন ইমেজধারী প্রার্থী যে দলই মনোনয়ন দেবে সেদিকেই বিজয় নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, এবারও ডিএনসিসি নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সিটি নির্বাচনের মতোই উত্তরে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় কোন চমক দিতে পারেন। ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। অন্যদিকে বিএনপিও চাচ্ছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে। তবে এখন পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে চমক দেয়ার মতো প্রার্থী নেই। আওয়ামী লীগে আলোচনায় যারা ॥ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই আছেন আলোচনায়। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি ও ঢাকা-৯ আসনের এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীর নাম মেয়র প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন মহলে শোনা যাচ্ছে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজের নামও আছে আলোচনায়। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে হিসেবে তার নাম চমক হয়ে আসতে পারে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও সোহেল তাজকে পছন্দ করেন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের সময় সোহেল তাজ বাংলাদেশে আসলেও তাকে দলীয় কোন দায়িত্ব দেয়া হয়নি। সব মিলিয়ে মেয়র হিসেবে মনোনয়নের টিকেট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার। সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ এইচ বি এম ইকবালের নামও আছে আলোচনায়। ২০১৫ সালের নির্বাচনেও তিনি মনোনয়নের চেষ্টা করেছিলেন। এছাড়া প্রার্থী হিসেবে অভিনেত্রী শমি কায়সারের নামও শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আনিসুল হকের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থেকেও প্রার্থী খোঁজা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় প্রথমেই উঠে আসছে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হকের নাম। এ ছাড়া আনিসুল হকের একমাত্র ছেলে নাভিদুল হকও রয়েছেন এই আলোচনায়। পরিবারকে প্রাধান্য দেয়া হলে তাদের মধ্য থেকেই যে কোন একজন প্রার্থী হতে পারেন বলে জোর আলোচনা রয়েছে দলের ভিতরে। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি, এছাড়া ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি ও বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জসিমউদ্দিনের নামও আলোচনায় আছে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তিনি বলেন, উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নোয়াখালীর ভোট ব্যাংক রয়েছে। এই ভোট কাজে লাগিয়ে নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে বিএনপি আবদুল আওয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আওয়ালকে মনোনয়ন দেয়ার চিন্তা করছে। আমিও নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে উত্তরের মেয়র প্রার্থী হতে চাই। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলে নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের মধ্য দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হতে পারবেন বলেও আশাবাদী তিনি। ইতোমধ্যে ঢাকার নোয়াখালী সমিতি তাকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছে। এই সমিতির সভাপতি শাহাবুদ্দিন জানান, তিনি মনোনয়ন পেলে ঢাকায় বসবাসকারী বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষ তার পাশে থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত কে হবেন দলীয় প্রার্থী, তা নির্ভর করছে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। আওয়ামী লীগের মধ্যে আরও একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। নানা হিসাব-নিকাশে বিএনপি ॥ আওয়ামী লীগের আমলে ঢাকা সিটি ভাগ হয়। দুই ভাগের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই জয় পায়। তাই একাংশ নিজেদের দখলে নেয়া চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিএনপি। এমন চিন্তা থেকেই প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের বিকল্প হিসেবে খুব হিসাব-নিকাশ করেই প্রার্থী মনোনয়ন দিতে চায় দলটি। দলের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। শনিবার রাতে গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সিনিয়র বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত মেয়র নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবার দলীয় মনোনয়নের প্রথম দাবিদার। তবে এর পাশাপাশি তার বাবা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর নামও জোরালোভাবেই শোনা যাচ্ছে। যদি কোন কারণে তাবিথ মনোনয়ন না পান, কিংবা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরও ভাল, যোগ্য এবং প্রবীণ ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হয় সে ক্ষেত্রে তার বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টুও চলে আসতে পারেন বলে জানা গেছে। এদিকে মিন্টু পরিবারের বাইরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেজর (অব) কামরুল ইসলামের নামটিও আলোচনায় এসেছে। অন্যদিকে ২০-দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ডিএনসিসি মেয়র পদে নির্বাচনে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। দলের সাবেক এমপি মেজর (অব) আখতারুজ্জামানও ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়তে চান। এছাড়াও আরও কয়েকজন নেতা বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন। অন্যান্য প্রার্থী ॥ এবার এই সিটি উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নাগরিক ঐক্যের প্রধান মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বিগত সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন, এমন জোর আলোচনা ছিল। তবে জেলে থাকায় তার প্রার্থী হওয়া হয়ে ওঠেনি। এবার তিনি প্রার্থী হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিগত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল মুহম্মদ ফারুক খান (অব)। সিটি নির্বাচনের প্রার্থী করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচনে জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন প্রার্থীকেই বেছে নেবে আওয়ামী লীগ। প্রার্থী মনোনয়ন দেবে দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সেখান থেকেই আসবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজধানীর এই স্থানীয় নির্বাচনকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিতে চায় দলটি। জাতীয় পার্টি থেকে বাহাউদ্দিন বাবুল এবারও প্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার পক্ষ থেকে জোনায়েদ সাকির নাম প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছে। তবে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নেই। খেলাফত মজলিশসহ ইসলামী ধারার বিভিন্ন দল প্রার্থী দিতে পারে। এছাড়াও ডিএনসিসি মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজা। নবম সংসদে সাতক্ষীরা থেকে এরশাদের জাতীয় পার্টির (জাপা) টিকেটে এমপি নির্বাচিত হওয়া রেজা এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। এইচ এম গোলাম রেজা জানান, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট গঠনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবগত রয়েছেন। উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়ে এরশাদকে কীভাবে সেদিন নাটকীয়ভাবে মহাজোটে সম্পৃক্ত করেছেন, তা শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন-আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুল জলিলসহ দলটির শীর্ষ নেতারাও জানেন। রেজা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবার ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারব।’ তিনি জানান, ঢাকাকে যানজটমুক্ত করে একটি পরিচ্ছন্ন, আলোকিত, বাসযোগ্য, নিরাপদ ও সবুজ নগরী গড়াই তার মূল লক্ষ্য। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিভিন্ন দল থেকে মেয়র প্রার্থী হন ১৬ জন। দক্ষিণে প্রার্থী সংখ্যা ছিল ২০ জন। উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক ৪ লাখ ৬০ হাজার ১১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পান ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট। ভোটাররা বলছেন, এবারও বড় দুই দলের প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
×