ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গত মাসে শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

গত মাসে শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত নবেম্বর মাস শেষে শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ এক হাজার ১৩৫ কোটি টাকা বেড়েছে। নবেম্বর শেষে ২৮৬ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল। বাজার মূল্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বেড়ে ৫১ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা মোট বাজার মূলধনের ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত নবেম্বরে ২৯ কোম্পানির মোট শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক অংশ এক শতাংশ থেকে প্রায় ১৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্সে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে সর্বাধিক। কোম্পানিটির মোট শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক অংশ এখন ৪০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা গত অক্টোবর শেষেও ছিল ২২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ সোয়া ১২ শতাংশ বেড়ে ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ছয় শতাংশের ওপর বেড়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনে। এ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার মোটের ৩৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। পৌনে ছয় শতাংশ বেড়ে পৌনে ১৮ শতাংশ হয়েছে সিমটেক্সে। শেয়ার ধারণের পরিমাণ প্রায় চার শতাংশ বেড়ে ঢাকা ডাইংয়ের শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক অংশ ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অক্টোবরের তুলনায় নবেম্বরে এসে নূরানী ডাইং, হামিদ ফেব্রিক্স ও বিকন ফার্মার মোট শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক অংশ প্রায় তিন শতাংশ বেড়েছে। দুই শতাংশের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে বিডি ফাইন্যান্স, আরএসআরএম স্টিল, এপেক্স ফুডস, উত্তরা ফাইন্যান্স ও ফনিক্স ফাইন্যান্সে। যেসব কোম্পানির মোট শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক অংশ এক শতাংশ থেকে প্রায় দুই শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, সেগুলো হলো বিবিএস, শমরিতা হাসপাতাল, ন্যাশনাল ফিড মিল, ব্যাংক এশিয়া, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স, সিঙ্গার বাংলাদেশ, উত্তরা ব্যাংক, বে লিজিং, প্যাসিফিক ডেনিম, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, কেয়া কসমেটিক্স, অগ্নি সিস্টেমস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল এবং জেএমআই সিরিঞ্জেস ও মেডিক্যাল ডিভাইসে। বিপরীতে শেয়ার সংখ্যার হিসাবে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি ইনটেক অনলাইন থেকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অংশ মোট শেয়ারের সাড়ে ১২ শতাংশেরও বেশি কমে ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশে নেমেছে। এর পরের অবস্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের মোট শেয়ার থেকে কমেছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ। নবেম্বর শেষে কোম্পানিটির মোট শেয়ারে এদের অংশ কমে ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশে নেমেছে। বিনিয়োগ প্রত্যাহারের তৃতীয় অবস্থানে ছিল এফএএস ফাইন্যান্স। এ কোম্পানির মোট শেয়ার থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অংশ পৌনে ৯ শতাংশ কমে এখন ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ ছাড়া সাউথইস্ট ব্যাংক, কোহিনূর কেমিক্যাল, ইমাম বাটন ও প্রিমিয়ার ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ছয় থেকে সাড়ে ছয় শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। চার থেকে প্রায় পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে পিপলস লিজিং ও সালভো কেমিক্যাল থেকে। প্রায় তিন শতাংশ থেকে সাড়ে তিন শতাংশ কমেছে জেমিনি সি ফুডস, এএফসি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, শাহজালাল ব্যাংক, ইস্টার্ন কেবলস ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে। যেসব কোম্পানির মোট শেয়ার থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অংশ দুই থেকে প্রায় তিন শতাংশ পর্যন্ত কমেছে, সেগুলো হলো খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং, ইফাদ অটোস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, তুংহাই নিটিং, সেন্ট্রাল ফার্মা, আমরা নেটওয়ার্কস, আজিজ পাইপস ও বিবিএস কেবলস।
×