ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ৫০৩ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ, শূন্য হতে চলেছে মংডু

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

আরও ৫০৩ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ, শূন্য হতে চলেছে মংডু

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে এখনও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে। রবিবার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত নতুন ৫০৩ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে টেকনাফ উপক‚লে। এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জাইদ রাদ আল হুসেইন ঘোষণা দিয়েছেন মিয়ানমারে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বিবিসিতে প্রকাশিত মানবাধিকার বিষয়ক এ হাইকমিশনারের বক্তব্য থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে সীমান্তের ওপারের সূত্রগুলো জানিয়েছে রাখাইনের মংডু শহরটি এখন প্রায় রোহিঙ্গাশূন্য হওয়ার পথে। তবে অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে এখনও ২ লাখের মতো রোহিঙ্গার অবস্থান রয়েছে। আর উত্তর মংডুর দংখালী সীমান্ত পয়েন্টে এখনও জড়ো হয়ে আছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। রবিবার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত ৫০৩ রোহিঙ্গা নতুন করে এসেছে। তাদেরকে সাবরাং হারিয়াখালী হয়ে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এদের পরিবারের সংখ্যা ১৬২। মংডু থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, রাখাইন রাজ্যের সিটওয়ে (সাবেক আকিয়াব) রাচিদং, বুচিদংসহ বিভিন্ন এলাকায় যেসব রোহিঙ্গা এখনও অবস্থান করছেন তারাও চরম আতঙ্কে রয়েছে। বর্তমানে রাখাইন রাজ্যে মগ সন্ত্রাসীদের উন্মত্ততা না থাকলেও গোপনে নিপীড়ন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অফিস থেকে রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে সত্তে¡ও কিন্তু উগ্র মগ সন্ত্রাসীদের নানামুখী বর্বর আচরণ থামছে না। এছাড়াও রাখাইনে রোহিঙ্গারা অভাব অনটনে রয়েছে। চলছে প্রচন্ড খাদ্যাভাব। ফলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য তৎপর রয়েছে। এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিয়ানমারে গণহত্যার নায়কদের বিচারের মুখোমুখি করার ঘোষণা দেয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে এর কার্যকারিতা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। হাইকমিশনার আরও বলেছেন, যে মাত্রায় এবং যেভাবে গণহত্যা জ্বালাও-পোড়াও নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার বিপরীতে অবশ্যই সেদেশে উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ সংক্রান্তে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনী যে নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে তা সেদেশের এনএলডি নেত্রীর জ্ঞাতসারেই ঘটেছে। অপরদিকে, শীত জেঁকে বসায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে রোগ ব্যাধিও বাড়ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে রোগ ব্যাধির শিকার হচ্ছে বেশি।
×