ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়ায় ১১ মাসের ভিজিডির চাল গায়েব

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

কলাপাড়ায় ১১ মাসের ভিজিডির চাল গায়েব

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৭ ডিসেম্বর ॥ ভিজিডি কর্মসূচীর জন্য (ভিজিডি চক্র ২০১৭-১৮) উপকারভোগী মহিলা নির্বাচনের চূড়ান্ত তালিকায় মাহমুদা বেগমের কার্ড নম্বর ১৩০। লালুয়া ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের জেলে পরিবার। রামনাবাদ পাড়ের এ পরিবারটি নদী ভাঙ্গনে বহুবার ঘর পাল্টেছেন। সামান্য জমি থাকলে এখনও ফসল পায় না। প্লাবণের ধকল নিত্যসঙ্গী। প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রকল্পের তালিকায় তার নাম কাগজে-কলমে ঠাঁই হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু আজ অবধি এক ছটাক চালও জোটেনি মাহমুদা বেগমের। অথচ ওই চাল উত্তোলন দেখানো রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে বহুবার ধর্ণা দিয়েছেন। কিন্তু চাল তো দূরের কথা কার্ডটিও হাতে পায়নি। একই দশা ছোনখোলা গ্রামের আকলিমা বেগমের। তার কার্ড নম্বর ৪৫। এসব চাল কোথায় গেছে। কে তুলে নিয়েছে। কিংবা বিক্রি করা হয়েছে তার কোন তথ্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা আখতার দিতে পারেননি। এ দুই দরিদ্র মহিলার গত ১১ মাসে ৬৬০ কেজি চাল লোপাট করা হয়েছে। গ্রামের বহু মানুষের অভিযোগ এমন অন্তত ২০-২৫ কার্ডধারী তাদের জন্য সরকারের এই খাদ্য সহায়তার চাল লোপাট হয়ে যায়। এই ইউনিয়নে অক্টোবর-২০১৭ মাস পর্যন্ত চাল বিতরণ করা হয়েছে। লালুয়া ইউনিয়নের অনুমোদিত ভিজিডি (২০১৭-১৮) চক্রের ৩২৬ দরিদ্র মহিলার ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া টাকা না দেয়ায় সঠিকভাবে প্রকৃত দরিদ্রদের এ কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে বাস্তবে একজনের নামের কার্ডে আরেকজনের ছবি লাগিয়ে চাল আত্মসাত করা হচ্ছে। গ্রাম অনুসারে তালিকা যাচাই-বাছাই করলে এই ভিজিডি কর্মসূচীর এন্তার দুর্নীতি বের হয়ে আসবে। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানালেন তিনি তদন্ত করে বিষয়টি দেখবেন। ইউপি চেয়ারম্যান মীর তারিকুজ্জামান তারা জানান, তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসা করাচ্ছেন। এসে তদন্ত করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন। ওই ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানান, বিষয়টি তিনি যাচাই-বাছাই করে দেখছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর রহমান জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
×