ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিয়ানমারে সাংবাদিকদেরকালো পোশাক কর্মসূচী

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারে সাংবাদিকদেরকালো পোশাক কর্মসূচী

মিয়ানমারের একদল সাংবাদিক বলেছেন, রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে আটকের প্রতিবাদে তারা শনিবার থেকে কালো টি শার্ট পরা শুরু করেছেন। অফিসিয়াল সিক্রেট আইনের অধীনে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সাংবাদিকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের এ ধরণের আচরণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত করছে। ওয়েবসাইট। প্রটেকশন কমিটি ফর মিয়ানমার জার্নালিস্টস নামে স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি গ্রুপ ইতোপূর্বেও দেশটিতে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছে। তারা এবার রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। তাদের আটক করাকে অন্যায় এবং গণমাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা বলেও গ্রুপটি কর্তৃপক্ষের এ কাজের নিন্দা করেছে। ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে গ্রুপটি বলেছে, ‘মিয়ানমারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কালো যুগকে তুলে ধরতে গ্রুপের সদস্যরা কালো টি শার্ট পরবেন’। ওয়ালোন (৩১) এবং কাই সো ও’ (২৭) নামের ওই দুই সাংবাদিকের আশু ও নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করেছে গ্রুপটি। রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর চলমান নির্যাতন ও গণহত্যার বিষয়ে ওই দুই সাংবাদিক কাজ করেন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাংবাদিকরাও তাদের সঙ্গে এ কর্মসূচী পালন করবে বলে গ্রুপটি জানিয়েছে। এছাড়াও তারা আটকের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ ও প্রার্থনার আয়োজন করবে। চলতি বছর গ্রুপটি অনেকগুলো প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে। এর মধ্যে জুনে একটি কর্মসূচীতে প্রায় ১শ জন সাংবাদিক অংশ নেন। টি শার্ট প্রতিবাদে ঠিক কতজন সাংবাদিক অংশ নেবেন তা স্পষ্ট নয়। সেনাবাহিনীকে ব্যঙ্গ করে একটি কার্টুন ছাপানোর দায়ে জুনে একজন পত্রিকা সম্পাদককে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে প্রটেকশন কমিটি ফর মিয়ানমার জার্নালিস্টস গঠিত হয়েছিল। গ্রুপটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্য নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য এ কথা বলেছেন। রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে আটক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একজন সাংবাদিকের তথ্য পাওয়ার এবং নীতিগত মান বজায় রেখে সংবাদ লেখার অধিকার রয়েছে ’। মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মায়ো নুয়ান্ট বলেছেন, রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে আটকের ঘটনার সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোন সম্পর্ক নেই। এটি অফিসিয়াল সিক্রেট আইনের বিষয়। কোনটি গোপন আর কোনটি নয় তা বলার ক্ষমতা সাংবাদিকদের থাকা দরকার।
×