স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে হার্ট স্টেন্টের (রিং) পর এবার হার্ট ভাল্ব ও পেসমেকারের মূল্য নির্ধারণ করছে সরকার। আজ সোমবার এক বিশেষ সভায় এই দু’টি মেডিক্যাল ডিভাইসের মূল্য নির্ধারণসহ তা প্রকাশ করবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। জটিল হৃদরোগের অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসায় বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৮ প্রকারের পেসমেকার, ৮ প্রকারের হার্ট ভাল্ব ও ২ প্রকারের এ্যামপ্লাটজার সেপটাল ওকিউলার (এএসডি)সহ মোট ৬৮ প্রকারের মেডিক্যাল ডিভাইস ব্যবহৃত হলেও শুধু এক প্রকারের এএসডি ছাড়া সরকারীভাবে কোন ডিভাইসের রেজিস্ট্রেশন নেই। এই দু’টি মেডিক্যাল ডিভাইসের মূল্য নির্ধারণ হলে দেশের জটিল হৃদরোগে আক্রান্ত শত শত রোগী উপকৃত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
অভিযোগ রয়েছে, আমদানিকৃত এসব ডিভাইস প্রকার ভেদে সর্বনিম্ন ৬৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ লাখ টাকা দামে বিক্রি হলেও এগুলোর দামের ওপর এতদিন সরকারী কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না। হাতেগোনা কয়েকটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্টরা ইচ্ছামাফিক দামে বছরের পর বছর বিভিন্ন ধরনের মেডিক্যাল ডিভাইস বিক্রি করে আসছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্টেন্টের পর এবার হার্ট ভাল্ব ও পেসমেকারের দাম কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রায় সময় বিনামূল্যে এ দুটি জীবনরক্ষাকারী ডিভাইস সাহায্য হিসেবে দেয়ার জন্য আবেদন আসে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের অর্থে কেনা এ দুটি ডিভাইস সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দরিদ্র রোগীদের সরবরাহ করা হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্টেন্টের মতো পেসমেকার ও হার্ট ভাল্বের চাহিদা নেই। বর্তমানে বছরে ১ হাজার ২ শ’ হার্ট ভাল্ব এবং ১ হাজার ৮ শ’ পেসমেকারের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা কম থাকায় অনেক সময় ডিভাইস অবিক্রিতও থেকে যায় বলে জানান তারা।