ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিজয় দিবসে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

বিজয় দিবসে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বিজয় দিবসের কর্মসূচী, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ মিনারে ফুল দেয়া এবং বিজয় মঞ্চে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া, হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। নড়াইলের লোহাগড়ায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া কয়েক জায়গায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যেও হয়েছে। কিশোরগঞ্জে বিজয় শোভাযাত্রায় ছবি তুলতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন একটি বেসরকারী টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। নড়াইলের লোহাগড়ায় বিজয় দিবসের সরকারী কর্মসূচীতে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের হাতাহাতি ও ধাওয়া, পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচী প- হয়ে যায়। শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মোল্লার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় মোল্লার মাঠে বিজয় দিবসের কর্মসূচী আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির ও পৌর মেয়র আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও কয়েক দফা ধাওয়া,পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা ভয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচী প- হয়ে যায়। তালতলীতে পিস্তল নিয়ে ধাওয়া ॥ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টু শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে বিএনপির নেতা কর্মীদের পিস্তল উঁচিয়ে ধাওয়া দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপির নেতা কর্মীরা এ অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, সকাল দশটার দিকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধার নেতৃত্বে তিন শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিএনপির নেতা কর্মীরা ফিরে যাচ্ছিল। বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পাশে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্য থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টু পিস্তল উঁচিয়ে মাঠের মধ্য দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এ সময় তালতলীর ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কমলেশ চন্দ্র হালদার চেয়ারম্যানকে জাপটে ধরে থামিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরপর উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকরা বিএনপির দুই কর্মী আসলাম ও রুবেলকে মারধর করে । প্রত্যক্ষদর্শী কামাল রাজা, সাইফুল ইসলাম মামুন, বেল্লাল ও সেলিম গাজী জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান মাঠের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে চেঁচিয়ে উঠে পিস্তল উঁচিয়ে অপর প্রান্তে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাকে ( চেয়ারম্যান) জাপটে ধরে থামিয়ে দেয়। মুক্তিযোদ্ধাকে স্মৃতিসৌধেই লাঞ্ছিত ॥ তোরা কিসের ছাত্রলীগ? তোরা কিসের আওয়ামী লীগ। এ কথা বলেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর স্মৃতিসৌধে চড়াও হয় দুবর্ৃৃত্তরা। শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয় দিবসের দিন সকালে শহরের ফারুকী পার্কের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক নিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম এমএসসি ও তার অনুসারীদের ওপর এ হামলা চালায়। জাহাঙ্গীর ও শোভনের নেতৃত্বে শত শত মানুষ এবং পুলিশের উপস্থিতিতেই এ হামলা চালানো হয়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় তার সহকর্মী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রচ- ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগের হেলাল গ্রুপের নেতাকর্মীরা শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে। এতে বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করা ও ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের প্রতিবাদ জানানো হয়। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে কঠিন আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করার কথা জানান। মুক্তাগাছায় বিজয় দিবসের মঞ্চ তছনছ ॥ মুক্তাগাছা পৌরসভার উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবসের মঞ্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় বিজয় মঞ্চ হামলা চালিয়ে তছনছ ও ভাংচুর করেছে মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ও আওয়ামী লীগের কর্মীসমর্থকরা। এসময় উত্তেজিত জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যান পৌর মেয়র শহীদুল ইসলাম। শনিবার সকাল আটটার দিকে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে মুক্তাগাছা পৌরসভা প্রাঙ্গণে। সূত্র জানায়, প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী বিজয় দিবসের মঞ্চ তৈরি করে আসছিল মুক্তাগাছা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবারের এই উদ্যোগ ও আয়োজনে ছিল দায়সারা ভাব। শনিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে দেখেন বিজয় মঞ্চে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর কোন ছবি নেই। এ নিয়ে বিএনপিপন্থী মেয়র শহীদুল ইসলামের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ফুল দিতে আসা মুক্তিযোদ্ধা, জনতা। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা, জনতার হাতে লাঞ্ছিত হয়ে মেয়র শহীদুল ইসলাম নিজেকে রক্ষায় দৌড়ে পালিয়ে যান। এসময় বিজয় মঞ্চ তছনছ করে ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা, জনতা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দামুড়হুদায় যুবলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ ॥ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার বিশ্বাস মার্কেটের কাছে বিজয় দিবসের র‌্যালিতে যুবলীগের নেতাকর্মী ও বিএনপির সংঘর্ষে র‌্যালিটি প- হয়ে যায়। এসময় বিএনপি নেতা জালাল উদ্দীন (৩৫), শফিউল্লাহ (৪০), রাসেল (২৮), আলতাফ উদ্দীন (৩০), হাসমত আলী (৩২), সাইফুল (২০), জাহিদ হোসেন (২৬), আপু (২৯) ও বাদলসহ (২২) ১০ জন এবং যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমান (৩৭) ও মিলনসহ (২১) ৩ জন আহত হয়েছে। শনিবার সকাল নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হোসেনপুরে ছাত্রলীগের হামলায় টিভি ক্যামেরা পার্সন আহত ॥ কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুরে বিজয় শোভাযাত্রায় ছবি তুলতে গিয়ে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরা পার্সন ফয়সাল আলম ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় ক্যামেরা ভাংচুর করে তাকেসহ চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধিকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় আধাঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করে ক্যামেরা ফেরত দেয়া হলেও মেমোরি কার্ড ফেরত দেয়নি হামলাকারীরা। কর্ণফুলীতে বিজয় মঞ্চে হাতাহাতি ॥ চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে দাওয়াত না দেয়ায় বিজয় মঞ্চে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে এজে চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ফলে ভুমিপ্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আর যোগদেননি। বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে দীর্ঘ একঘন্টা অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক চৌধুরীসহ স্থানীয়দের সঙ্গে সমঝোতা হলে অনুষ্ঠান পুনরায় শুরু হয়। লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ বিএনপি সংঘর্ষ ॥ লালমনিরহাটে শনিবার বেলা ১১টায় স্টেশন রোড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুরো স্টেশন এলাকা মুহূর্তে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে এএসপি সুশান্ত সরকারসহ পুলিশের ৩ কর্মকর্তা আহত হন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে নিতে ৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছে। বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা স্টেশন রোডে শ্রমিক দলের একটি অফিসে ব্যাপক ভাংচুর করে। পাল্টা জবাব দিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে স্টেশন রোড়ে শ্রমিক লীগের অফিসে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ঘটনায় শহরের অলিতে গলিতেসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পুলিশ পাহাড়া জোরদার করা হয়েছে। জেলা সদরের বড়বাড়ি এলাকার হারুন অর রশিদ নামে জনৈক ব্যক্তি ১৫ ডিসেম্বর রাতে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়। এই খবরে রাতে ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ ডিসেম্বর সকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুর্গাপুরে আ’লীগ বিএনপি ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ॥ রাজশাহীর দুর্গাপুরে মহান বিজয় দিবসে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তফার নাম ধরে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং উভয় পক্ষের নেতাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যশোরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাতাহাতি, ভাংচুর ॥ যশোরে বিজয় দিবসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে হাতাহাতি, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের টাউন হল ময়দানে এ ঘটনা ঘটে। যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে সাবেক কমান্ডার মুযহারুল ইসলাম মন্টু ও বর্তমান কমান্ডার রাজেক আহমেদ অনুসারীদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। পরে জেলা প্রশাসক তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের টাউন হল রওশন আলী মঞ্চে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে হাতাহাতি ॥ টাঙ্গাইলের বাসাইলে বিজয় দিবস উদযাপনকালে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা পর্বে আপায়ন উপ-কমিটিতে নাম না থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে বাসাইল উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
×