ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা নিধন

মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে

রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর জাতিগত নিধনের জন্য দায়ীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। এরই মধ্যে দায়ী এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সম্ভাব্য আরও কয়েকজনের দায়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তিনি। বছরখানেক আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ কমিয়ে আনার পর যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে নতুন করে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। খবর ওয়েবসাইটের। মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা বলতে গিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘে টিলারসন সাংবাদিকদের এসব জানান। রাখাইনে মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতনে চলতি বছর আগস্ট থেকে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নিজ এলাকা ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তবে কে, কখন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি টিলারসন। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে কোন কোন পদমর্যাদার লোক এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে, তা ঘোষণা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অন্য দেশের নাগরিকের ওপর সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায়। ওইসব পদমর্যাদার ব্যক্তিদের মার্কিন সম্পদ জব্দ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নির্যাতনকে নবেম্বরে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওয়াশিংটন দায়ীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি চিন্তা করছে বলে সেসময় জানিয়েছিলেন তিনি। টিলারসন বলেন, আগস্ট হামলার পর থেকে হওয়া সব ঘটনা ও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি আমরা; যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জন্য এরই মধ্যে দায়ী একজনকে চিহ্নিত করেছি, সম্ভাব্য অন্যদের বিষয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন প্রথম পর্যায়ে সীমিত ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, তবে এ নিষেধাজ্ঞায় সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।
×