ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্যারিয়ার হতে পারেন ফার্মাসিস্ট -নাঈম খান

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

ক্যারিয়ার হতে পারেন ফার্মাসিস্ট  -নাঈম খান

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩৫০টি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ওযুধ দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৭০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ওষুধের উৎপাদন, মাননিয়ন্ত্রন ও বিপণনে ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। সারা বিশ্বে ফার্মাসিস্টদেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বেশ কয়েকটি সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল অন্যতম। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগে রয়েছে সুসজ্জিত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত ৫টি ল্যাবরেটরি। যেখানে শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক গবেষণা করে থাকে। এই সব গবেষণার ফলাফল, তথ্য-উপাত্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সাময়িকীতে ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এ ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে উঠেছে বাড্ডার সাতারকূলে। সেখানে দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্যের মাধ্যমে ২টি বিশাল ভবন গড়ে তোলা হয়েছে এবং আরো ভবন গড়ে উঠছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাতারকূল স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়াও ৬৬, গ্রীনরোডে একটি ১২তলা বিশিষ্ট ভবন এবং বনানীর ১ নাম্বার রোডে ২টি ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এ ইউনিভার্সিটির বিশেষত্ব হলো, বিভিন্ন সামাজিক ও মানব কল্যাণকর কাজে অংশগ্রহণ। যেমন সামাজিক ব্যবসা, এ্যান্টি ট্যোবাকো সেলের কার্যক্রম পরিচালিত করছে। পাশাপাশি উন্নত মানসিকতা গড়ে তুলতে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করানো হয়, দেশে এবং দেশের বাইরে। মুক্ত বুদ্ধিচর্চার জন্য তারা বিতর্ক প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করে থাকে। যেমন ২০১৪ সালে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এটিএন বাংলা পার্লামেন্ট ডিবেট প্রতিযোগিতায় ফাইনালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় তারা একবার ১ম রানারআপ আরেকবার ২য় রানারআপ হয়েছে। এবার তারা ফাইনালে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের ইংরেজী ভাষার ওপর দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ ইনস্টিটিউটের নামে ইউনিভার্সিটির এম.ও ইউ স্বাক্ষর করেছে। উল্লেখযোগ্য দিক হলো এ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মালয়েশিয়ার ক্যাবাংসন ইউনিভার্সিটির, ভারতের দয়ানন্দ সাগর ইউনিভার্সিটির, বাংলাদেশ এ্যাডভান্সড্ বিজনেস একাডেমিকের, ইউনাইটেড ন্যাশনস গ্লোবাল কম্প্যাক্ট ও ইউনাইটেড ন্যাশনস্ একাডেমিক ইম্প্যাক্টস্র একাডেমিক স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ কে এম মোহসীন বলেন, এ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এ. বি. এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী মধ্যবিত্ত ও নিম্ন বিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। তাই এখানে টিউশন ফি অন্যান্য ইউনিভার্সিটির চেয়ে খুব কম। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষাদান করা হয়। বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ডা. শহীদুল কাদির পাটোয়ারী বলেন, ‘নলেজ ইজ পাওয়ার’, এ স্লোগান নিয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি যাত্রা শুরু করে ১৯৯৫ সালে। তাই শিক্ষামানের ক্ষেত্রে আমরা আপোস করি না। শিক্ষার্থীদের যথার্থ শিক্ষাদান দেওয়া হয়। যোগাযোগ : বাড়ি-০৪, সড়ক-০১, ব্লক-এফ, বনানী, ঢাকা-১২১৩। মোবাইল : ০১৯৩৯৮৫১০৬১।
×