ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সৌদি নারীদের নিজের কথা বলার সুযোগ দেবে সিনেমা

প্রকাশিত: ০৩:২৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

সৌদি নারীদের নিজের কথা বলার সুযোগ দেবে সিনেমা

সৌদি আরবের প্রথম নারী চিত্রপরিচালক হলেন হাজার আল-নাইম। যিনি সিনেমা তৈরি করতে এখন মাঠে নেমে পড়েছেন। সিনেমার ওপর থেকে সৌদি সরকারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় তিনি এখন তার ফ্যাশনকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পেয়েছেন। -আরব নিউজ আল-নাইম ‘ডিটেইনড’ নামে একটি সিনেমার পরিচালন ও সহ-লেখিকা। সিনেমাটি এই সপ্তাহের দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। সিনেমাটিতে লন্ডন বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী এক সিরিয়ান শরণার্থীর বাবা চিহ্নিত হবার পর মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির আটক করা, তারপর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের লড়াই দেখানো হয়েছে। সিনেমাটির প্রদর্শনের পর আল-নাইম বলেন, তার সিনেমায় দুটি দৃষ্টিকোণ উপস্থাপিত হয়েছে... এর একটি হচ্ছে আমেরিকান দৃষ্টিকোণ ও অপরটি মধ্যপ্রাচ্য দৃষ্টিকোণ। আমি খুব খুশি। কেননা আমি আমার সিনেমায় যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের লোকজনকে দেখাতে পেরেছি। আমি আমেরিকান দর্শকদের আমাদের লড়াই বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সেটি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলমান হওয়া। সেখানে প্রচুর প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যা তারা পছন্দ করেছে। কেন এ ধরনের সিনেমা তৈরি করলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে আল-নাইম বলেন, এটি এ কারণে হয়েছে কেননা যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলো উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেকেই শুধু প্রতিনিধিত্ব করে। যা ভুলভাবে করে। এক্ষেত্রে আমার উদ্দেশ্য হলো ভুল দৃষ্টিভঙ্গিটিকে ছেঁটে ফেলে দেয়া। আমার সিনেমায় তহবিল সহায়তা করেছে সৌদি আরবের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান। আমি মনে করি এই লোকগুলো সিনেমাটি দেখতে চায়। তারা সিনেমা তৈরিতে আর্থিক সহায়তা ও সহযোগিতা করে নিজের দেশের জন্যই কাজ করেছে। আমি এই সংবাদে খুবই আনন্দিত যে সৌদি আরবে সিনেমার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। আমি ভাবতে পারছি না যে, আমার সৌদি আরবে সিনেমা করতে পারব। এ ধরনের সিদ্ধান্তে আমি বিশ্বাস করি সরকারেরই উচিত সিনেমা তৈরি করার প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া। চলচ্চিত্র তৈরি করাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারে এমন লোকদের প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সহায়তা করা ও উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আমি আশা করি নারীরা সিনেমায় তাদের কথা আরও বেশি করে বলবে। একজন সৌদি নারী পরিচালক ও চলচ্চিত্রকার হিসেবে আমার লক্ষ্য সিনেমা তৈরির জন্য নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া। যাতে তারা পর্যাপ্ত সহায়তা পায়। আমি জানি যে অনেক প্রযোজক আছেন যারা এই চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান। তবে আমি মনে করি এখন পরিচালক হিসেবে আমাদের কাজ হলো বিষয়বস্তু নির্বাচন ও দর্শকদের ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। আমরা চাই লোকজন বুঝুক যে আমরা চেষ্টা করছি ভাল কিছু করার ও আমরা অল্প কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। শুরুতে এটি খুবই ধীরগতিতে শুরু হলেও সংস্কৃতির ধারণা পরিপূর্ণভাবে ও দ্রুত গ্রহণ করা যায় না। এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মার্কিন সিনেমা তৈরির প্রতিষ্ঠান এএমসি এন্টারটেইনমেন্টের এক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। যাতে সৌদিতে সিনেমা হল তৈরি করা যায়।
×