ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইউপি সদস্যের ওপর হামলা ॥ আহত ৩০

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

ইউপি সদস্যের ওপর হামলা ॥ আহত ৩০

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী বরগুনা, ১৫ ডিসেম্বর ॥ জামিনে ছাড়া পেয়ে ইউপি সদস্যের ওপর ফের হামলা করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। ইউপি সদস্যকে রক্ষায় স্থানীয় লোকজন ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের বরিশাল শেবাচিম ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে। উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জলিল রাঢ়ীকে গত ২ জুলাই সন্ধ্যায় জামাল মোল্লা পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে তালতলী গ্রামীণ ব্যাংকের নিচে ডেকে নেয়। পরে জামাল মোল্লা, বাচ্চু হাওলাদার, শুক্কুর আলী, দুলাল হাওলাদার, আলী মিয়া ও রাজা মৃধাসহ ৮-১০ সন্ত্রাসী তাকে (ইউপি সদস্য) ধরে পার্শ্ববর্তী বটতলার নির্জন স্থানে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাম পায়ের গোড়ালির উপরের রগ কেটে, পায়ের পাতা, ডান পায়ের মধ্যমা আঙ্গুল ও ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় গত ৩ জুলাই জামাল মোল্লা, শুক্কুর আলী, আলী মিয়াসহ ৭ জনের নামে ইউপি সদস্যের বড় ভাই ইউনুস রাঢ়ী বাদী হয়ে তালতলী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় গত ৯ নবেম্বর আসামি জামাল মোল্লা, শুক্কুর আলী ও আলী মিয়া আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়। আদালত তাদের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। গত এক মাস ধরে আসামিরা জেলহাজতে ছিল। বৃহস্পতিবার আসামিরা জেলহাজত থেকে জামিনে ছাড়া পায়। ওইদিন আসামিরা রাত আটটার দিকে ১৫/২০ খানা মোটরসাইকেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিউপাড়া বাজারে আসে। সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপি সদস্য পার্শ্ববর্তী সুলতান হাওলাদারের ঔষধের দোকানে আশ্রয় নেয়। পরে সন্ত্রাসীরা ইউপি সদস্য জলিল রাঢ়ীর রড সিমেন্টের দোকান ও সুলতান হাওলাদারের ঔষধের দোকান কুপিয়ে ভাঙচুর করে এবং ইউপি সদস্যের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের তা-বে বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। ইউপি সদস্যকে রক্ষায় স্থানীয় লোকজন ও তার স্বজনরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংষর্ঘে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ইউনুস রাঢ়ী, মহসীন, জাকির সিকদার, মর্জিনা বেগম, অলি উল্লাহকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং হারুন মোল্লা, কামাল মোল্লা, জামাল মোল্লা, বাশার মোল্লা, আলী হোসেন, জাকির মোল্লাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
×