ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরের বধ্যভূমি বেহাল

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

যশোরের বধ্যভূমি বেহাল

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের গণকবরগুলো সংরক্ষণের অভাবে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। কিছু সংখ্যক বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হলেও অযতœ-অবহেলায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বধ্যভূমির জায়গা দখল করে বাড়ি ঘর তৈরিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে বধ্যভূমির জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে শহীদদের গণকবরগুলো সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। জানা যায়, যশোর শহর ও শহরতলীতে অন্তত ৫০টি বধ্যভূমি রয়েছে। জেলা সদরের বাইরে সাত উপজেলায় আরও অসংখ্য বধ্যভূমি রয়েছে। এর মধ্যে ২০টির মত বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়। যশোর শহরের চাঁচড়া বধ্যভূমি, সরকারী মুরগি ফার্ম বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ, রেলস্টেশন মাদ্রাসার শহীদদের গণকবর, ফার্টিলাইজার ফার্ম গণকবর, ক্যান্টনমেন্ট রোডের ক্লাবে রক্ত ঋণ সমাধি, শহীদ স্মৃতিফলক, শহীদ লে. আনোয়ার হোসেনের ৪ সহযোদ্ধার স্মৃতিফলক, বারিনগর শহীদ লে. আনোয়ারের সমাধি, খাজুরা এমএন মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলক, বাহাদুর পুর গ্রামের শহীদদের স্মৃতিফলক, খুলনা বাসস্ট্যান্ড বিজয়স্তম্ভ, বকচর শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ। ধোপাখোলা ২৩ শহীদের স্মৃতিস্তম্ভ, নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে চারুবালা করের সমাধি, ফাতিমা হাসপাতালে শহীদ স্বপন বিশ্বাস ও তার সহযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভ, কোতোয়ালি থানা চত্বরে শহীদদের সমাধি ও সদর হাসপাতাল চত্বরে শহীদের কবর রয়েছে। এই বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হলেও তদারকির অভাবে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও যশোর-খুলনা মহাসড়কের উত্তর পাশে রূপদিয়া নীলকুঠি বধ্যভূমি। এখন এই কুঠির বেশিরভাগ জায়গা দখল হয়ে গেছে। মাদারীপুরে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে ১৫ বধ্যভূমি নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, সংরক্ষণের অভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে মাদারীপুরের ১৫ বধ্যভূমি। জেলার এই ১৫ বধ্যভূমিতে রয়েছে দেড় সহস্রাধিক শহীদের লাশ। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এ সকল শহীদের স্মৃতি সংরক্ষণের কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ২০১৩ সালে সরকারীভাবে জেলার ১০ বধ্যভূমি উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তা বাস্তবায়নে কোন অগ্রগতি হয়নি। এদিকে ১৫ বধ্যভূমির মধ্যে ১০ বধ্যভূমি উন্নয়ন ও সংরক্ষণ কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ৫ বধ্যভূমি থেকে যায় চোখের আড়ালে। মুক্তিযুদ্ধের এ সব স্মৃতি সংরক্ষিত না হলে হয়ত একদিন তা হারিয়ে যাবে। আর এ কারণেই নতুন প্রজন্ম ভুলে যাবে স্বাধীনতার অমূল্য ইতিহাস। বর্তমানে জেলার বধ্যভূমিগুলোর কোনটি গো-চারণ ভূমি, কোনটি বাঁশঝাড়, জলাশয়, ডোবা-নালা, ফসলি জমি, মরিচ ক্ষেত, কোনটির বুকে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গণপূর্ত বিভাগ বধ্যভূমিগুলো উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য একটি সমীক্ষা করে তা ঢাকায় প্রেরণ করে। যে সকল বধ্যভূমির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাতেও রয়েছে স্থান নির্বাচনে ব্যাপক ভুল-ভ্রান্তি। কোন বধ্যভূমির কতজন শহীদের লাশ রয়েছে, কোন তারিখে কিভাবে ঘটনা ঘটেছে তারও কোন সমীক্ষা করা হয়নি। আবার যে সকল পরিবারের সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন; আজও তাদেরকে শহীদ পরিবার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। যাদের আতœত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, ৪৬ বছরে তাদের পরিবার অবহেলিত এবং অবহেলিত বধ্যভূমিগুলো।মাদারীপুর সদর উপজেলায় ৭ এবং রাজৈর উপজেলায় ৮ বধ্যভূমি রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার কুকরাইল মৌজার এ.আর হাওলাদার জুট মিলের অভ্যন্তরে বৃহৎ বধ্যভূমি। এখানে প্রায় ১ হাজার ১‘শ মুক্তি পাগল নর-নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়। রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের কেষ্ট বৈদ্য’র বাড়ির পুকুর পাড় একটি বধ্যভূমি রয়েছে। আমগ্রাম ইউনিয়নের পাখুলা গ্রামের রাসু গাটিয়ার বাড়ির পুকুর পাড় বধ্যভূমি। রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের গণেশ পাগলের সেবা আশ্রমের পূর্ব পাশে, যেখানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়, সেই পুকুর পাড় বধ্যভূমি। রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের সেনদিয়া গ্রামের আলেক ফকিরের বাঁশঝাড় (বুড়ির ভিটা) সংলগ্ন ৩ খালের সংযোগ স্থানে বধ্যভূমি। সেনদিয়া এলাকার সিদ্দিক মাতুব্বরের বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব কোণে বধ্যভূমি। সেনদিয়া গ্রামের শচীন বারিকদারের বাড়ির দক্ষিণ পাশে খালের পাড় (গণেশ বারিকদারের বাড়ির সামনে) বধ্যভূমি। রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের সেনদিয়া গ্রামের ডাঃ রাসু বারিকদারের বাড়ির পাশে বাগানের ভিতরের খালপাড় দক্ষিণ পূর্ব কোণে বধ্যভূমি। রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানবাড়ি গ্রামের পূর্ণ চন্দ্র বৈদ্যের বাড়ির উত্তর পাড় পুকুরের মধ্যে বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে টেকেরহাটের এক চিহ্নিত রাজাকার মহিউদ্দিন মনি হাওলাদারের নেতৃত্বে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা নিরীহ নর-নারী-শিশুকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় লাশগুলো উল্লেখিত ৬ বধ্যভূমিতে মাটি চাপা দেয় গ্রামবাসী। চিতলমারীতে বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী গ্রামে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর একটি বধ্যভূমির সন্ধান মিলেছে। ৭১ সালে পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের অনেক কাহিনী উঠে এসেছে এখান থেকে। অসংখ্য নিরীহ লোককে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল এখানে। এ হত্যাকা-ের ইতিহাস এতোদিন অনেকের কাছে অজানা ছিল। সদ্য আবিষ্কৃত এ বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা মিলে এ এলাকায় হামলা চালায়। বলেশ্বর নদী দিয়ে গানবোটযোগে ও বাগেরহাট থেকে স্থল পথে তারা প্রবেশ করার পথে নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় গুলির আওয়াজে লোকজন প্রাণভয়ে এদিক-ওদিক পালাতে থাকে। আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আশ্রয় নিতে আসা লোকজন এবং অনেক গ্রামবাসী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খলিশাখালী ও পূর্বখড়মখালী গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে হোগলা ও পাটক্ষেতে আত্মরক্ষার জন্য আশ্রয় নেয়। এ সময় পাকবাহিনী তাদের দেখতে পেয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অসংখ্য নিরীহ লোকজনকে এ স্থানে তারা হত্যা করে। এখানে সেদিন যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের অনেকের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত অনেকের বাড়ি পিরোজপুর, নাজিরপুর, উজিরপুর, ও কচুয়াসহ আশপাশের এলাকায় বলে জানা গেছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এ বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঢাকা থেকে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এটিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বরিশালের অধিকাংশ গণকবর অরক্ষিত স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান,‘শ্যালা উদারছে ইদারাও-মুক্তি কিয়া আশ্রয় দাও’। এ কথা বলেই আমাদের গ্রামসহ আশপাশের ৪৫ নিরীহ গ্রামবাসী নারী-পুরুষকে ধরে এনে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে (ফায়ার স্কট) হত্যা করে পাকিস্তানী মিলিটারি। আবেগআপ্লুত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের নীরব সাক্ষী বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার কাঠিরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শতীশ চন্দ্র রায় (৬৭)।আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আমার বাবা শ্যাম কান্ত রায়সহ ৪৫ জনকে ১৯৭১ সালের ২০মে কাঠিরা গ্রামে বসে ফায়ার স্কট দিয়ে হত্যা করে পাক সেনারা। বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আমি ভারতে মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করছি। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরেও আমাদের ভ্যাগে জোটেনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের স্বীকৃতি। এমনকি আমার নিজের নামও মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করা হয়নি। তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেও তিনি কোন সুফল পাননি।একই গ্রামের হরেন মধু (৭৬) জানান, পাকসেনারা তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে তার বাবা নারায়ণ মধু, কাকা মনোরঞ্জন মধু, জগীন্দ্র নাথ মধু, রণজিত মধুসহ ১৮ জনকে ওই বাড়িতে বসেই হত্যা করে। গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মনোহর অধিকারী (৯০) জানান, কাঠিরা গ্রামে বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয় রাজাকারদের কাছে পাকসেনারা এমন খবর পেয়ে ২০ মে (রবিবার) সকালে কাঠিরা বাজারে দুজন ভিক্ষুককে হত্যা করে গ্রামের চারপাশ ঘেরাও করে। পরবর্তীতে হানাদাররা মুক্তিবাহিনীকে আশ্রয় দেয়ায় কাঠিরা গ্রামের ১৫, ঘোড়ারপাড় গ্রামের সাত জনসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের ৪৫ নিরীহ নারী-পুরুষকে ফায়ার স্কট দিয়ে হত্যা করে। পাক সেনারা ওই ৪৫ জনের লাশ কাঠিরা গ্রামের গির্জার পাশের একটি ডোবার মধ্যে ফেলে রাখে। পরে এলাকাবাসী ডোবার মধ্যেই লাশগুলো মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। দেশ স্বাধীনের পর এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দাবি ছিল ওই বধ্যভূমির ওপর শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার। স্থানীয় হিমাংশু কর্মকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পর কত সরকার আইলো আর গ্যালো কেউ শহীদদের স্মরণ করেননি। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহায়তায় ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিসিডিবির সহযোগিতায় ১৯৯৭ সালের ২০ মে বধ্যভূমির ওপর একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ২০ মে এলাকাবাসী বধ্যভূমির শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে আসছে। সরকারী উদ্যোগে এখানে আজও কোন কর্মসূচী পালন করা হয়নি। শহীদ পরিবারের সদস্যরা ‘শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি’ পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বধ্যভূমি কেতনার বিল ॥ স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা গ্রামের কেতনার বিলে পাক সেনাদের নির্মম বুলেটে প্রায় দুই সহস্রাধিক নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বধ্যভূমি কেতনার বিল এলাকায় এখনও ওই সব শহীদের স্মরণে নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতিস্তম্ভ। রাংতা গ্রামের শহীদ কাশীনাথ পাত্রের পুত্র জগদীশ পাত্র (৬২) জানান, ঘটনার দিন পহেলা জ্যৈষ্ঠ প্রাণ বাঁচাতে পালাতে গিয়ে পাকবাহিনীর গুলিতে এলাকার দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর কেতনার বিলে শহীদ হন। অধিকাংশ গণকবর অরক্ষিত ॥ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকবাহিনী ও স্থানীয় রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বর্বর নির্যাতনে নিহত শহীদদের ৩৪টি গণকবরের স্মৃতি রক্ষার্থে এখনও বরিশালের অধিকাংশস্থানে নির্মিত হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ। যেসব স্থানে সরকারী কিংবা বেসরকারী উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে তাও অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। সরকারী উদ্যোগে দীর্ঘ ৪৬ বছরে গণকবরগুলো শনাক্ত করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ না করায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
×