ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৯ বছরেও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও জাদুঘর

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

৯ বছরেও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও জাদুঘর

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী ॥ নরসিংদীর রায়পুরায় প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। গ্রন্থাগারে কিছু বই থাকলেও জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতিচিহ্ন নেই। অবহেলায় পড়ে আছে- তার পৈত্রিক ভিটা বাড়িটি। একই সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠের নামে তাদের গ্রামের নামকরণের সরকারী সিদ্ধান্তও আটকে আছে কাগজ-কলমে। ফলে দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শণার্থীদের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগরে গিয়ে নিশ্চিহ্ন স্মৃতিচিহ্ন দেখে হতাশ হতে হচ্ছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের পাশেই বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের স্মৃতিফলক ‘বাংলার ঈগল’। ত্রিমুখী কালো পাথরের স্তম্ভ। এর একটিতে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের প্রতিকৃতি, আরেকটি জীবন বৃত্তান্ত। অপর স্তম্ভটিকে খোলা আকাশের প্রতীক হিসেবে ফাঁকা রাখা হয়েছে। মাঝে ত্রিভুজ আকৃতির স্তম্ভে টেরাকোটায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দৃশ্য ফুটে উঠেছে। সবার উপরে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের প্রবেশ নির্দেশক। রামনগর হাই স্কুল এবং রামনগর উত্তরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলগুলোর মাঠের একপাশে ২০০৮ সালে নির্মাণ করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। জেলা পরিষদ গ্রন্থাগারটি তত্ত্বাবধান করছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। পাঠাগারে কিছু বই থাকলেও জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠের কোন স্মৃতিচিহ্ন নেই। দুই বছর ধরে শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। লাইব্রেরিয়ানের পদটি ২ বছর যাবত শূন্য। ফলে অযত্ন-অবহেলায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি। জানতে চাইলে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক এনামুল হক বলেন, দুই জনের কাজ এক জন করলে যেমন হয় সেভাবেই প্রতিষ্ঠানটি চলছে। বছরের অধিকাংশ দিনই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আগ্রহ নিয়ে লোকজন আসে কিন্তু জাদুঘরে কোন সংগ্রহশালা না থাকায় তাঁরা হতাশ হয়ে ফিরে যায়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে সম্প্রতি বখাটেদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান। এই ব্যাপারে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজয় দিবসে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের মুর‌্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। একই সঙ্গে শীঘ্রই বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
×