ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্মরণকালের বৃহত্তম জানাজা চট্টগ্রামে

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

স্মরণকালের  বৃহত্তম  জানাজা চট্টগ্রামে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে জননন্দিত রাজনীতিক ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামাজে জানাজায় শরিক হয়েছেন লাখো মানুষ। শুক্রবার বিকেলে সকল দিক থেকে জনস্রোত ছিল ঐতিহাসিক লালদীঘি অভিমুখে। প্রিয় নেতার জানাজায় অংশ নিতে আসা অনেকের চেহারা ছিল অশ্রুসজল। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আন্দরকিল্লা থেকে কোতোয়ালি, জেলরোড থেকে সিনেমা প্যালেস পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। অনেকেই মূল জানাজার স্থল পর্যন্ত পৌঁছাতে না পেরে সড়কেই নামাজ আদায় করেন। শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। লালদীঘি মাঠের এ জানাজা উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন সড়কে কয়েক ঘণ্টার জন্য জনস্রোতের সৃষ্টি হয়। কিছু সময়ের জন্য থমকে যায় নগরীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। চশমা হিলের বাস ভবন থেকে দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয় হয়ে লালদীঘির মাঠ পর্যন্ত সড়কের দুপাশে হাজার হাজার জনতা মহিউদ্দিন চৌধুরীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় পুরো এলাকার পরিবেশ ছিল ভারি। অশ্রুজল ছিল সকলের চোখে। লালদীঘি মাঠে শুক্রবার অনুষ্ঠিত মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামাজে জানাজাটি ছিল চট্টগ্রামে স্মরণকালের বৃহত্তম জানাজা। বিরাট এ জনসমাগমের ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নামাজে জানাজায় শরিক হয়েছেন দল মত নির্বিশেষে সকল বয়সের এবং শ্রেণী পেশার মানুষ। ফুলে ফুলে ঢেকে যায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর কফিন। সেখানে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আনিসুজ্জামান। জানাজায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, সংসদ সদস্য আফসারুল আমিন, এমএ লতিফ, আবু রেজা নদভী, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, উত্তর জেলা সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, মহিউদ্দিনের দুই পুত্র ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বোরহান উদ্দিন সালেহীন, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন এবং আওয়ামী লীগ ও রাজনৈতিক বিভিন্ন দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ। রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিক, হকার, দিনমজুর থেকে শুরু করে সমাজের উঁচুস্তর পর্যন্ত সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়। মহিউদ্দিনের জন্য সকলেই কেঁদেছে। আর তিনি কাঁদিয়ে গেলেন পুরো চট্টগ্রামকে। এই মুহূর্তে অভিভাবকহীন করে গেলেন গোটা চট্টগ্রামকে।
×