ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এখন গর্ব করে বলতে পারি- আমি শহীদের সন্তান’

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

এখন গর্ব করে বলতে পারি- আমি শহীদের সন্তান’

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ৭৫-এর পর আমরা ভুলতে বসেছিলাম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কথা, শহীদদের জীবন দেয়ার কথা। একটা সময় ছিল শহীদের সন্তান পরিচয় দিতে আমার ভয় লাগত। কারণ পরিচয় দিলে বোধ হয় আমার ক্ষতি হবে। আমার বড় ভাইয়ের চাকরি হবে না, আমার মাকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাসা থেকে বের করে দেয়া হবে। সেই ইতিহাস আমরা আবার পুনরুদ্ধার করেছি। এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায়, তাই গর্ব করে বলতে পারি আমি শহীদের সন্তান। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শহীদদের স্মৃতিচারণ ও প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী এস এম এ রাশীদুল হাসানের কন্যা রোকাইয়া হাসিনা নীলি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন জহির রায়হানের পুত্র অনল রায়হান, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের সন্তান সুমন জাহিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। রোকাইয়া হাসিনা নীলি বলেন, আমার বাবা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। আজকে আমার কষ্টের দিন, একই সঙ্গে গর্বের দিন। কারণ সমগ্র জাতি আজকে আমার বাবাকে স্মরণ করছে। বাংলাদেশ নামক দেশটি জন্মানোর জন্য আমার বাবা জীবন দিয়েছেন। সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানের সন্তান আমি। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমাদের অনুভূতিতে আছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। বুদ্ধিজীবীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পথ প্রদর্শক ছিলেন। আমাদের দাবি যাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে শাস্তির রায় ঘোষিত হয়েছে তাদের বাংলাদেশে এনে শাস্তির রায় কার্যকর করা। একই সঙ্গে আরও যারা ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত আছে তাদের বিচার অতি দ্রুত সম্পন্ন করা। নতুন প্রজন্মের সামনে শহীদদের স্মৃতি চিরজাগ্রত রাখার জন্য আমাদের পাঠ্যবইয়ে নতুনভাবে সংযুক্ত করা হোক।
×