আর একদিন পরেই বাঙালীর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন বিজয় দিবস। বিজয় দিবসের রং বলতে লাল সবুজকেই বোঝায়। আর তাই বিজয় দিবসে পোশাকের ফ্যাশনে প্রাধান্য পায় লাল সবুজের নানা গহনা। পোশাক অন্য রঙের হলেও লাল সবুজের ছোঁয়া তাতে থাকতেই হবে। আর তাই বিজয় দিবস এলেই দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোতে দেখা যায় লাল সবুজ রঙের নানা ঢঙের গহনা।
শাড়ি, কুর্তা, ফতুয়া, স্কার্ট টপসের সঙ্গেও পরতে পারেন এসব মানানসই গহনা। বিজয়ের দিবসের আমেজটাকে রাঙাতে চাইলে হাত ভর্তি চুড়ি পরতে পারেন। আমাদের আজকের আয়োজন বিজয় দিবসের সাজে গহনা।
১. মাটি আর নানা রঙের পুঁতির তৈরি মালা।
২. লাল শাড়ির সঙ্গে মানানসই গোল আকৃতির সবুজ মালা।
৩. বিজয়ের সাজ মানে লাল সবুজ, তাই লাল আর সোনালি পুঁতির গাথায় গহনা।
৪. মাটির তৈরি লাল সবুজ টেরাকোটা দুল।
৫. হাতের বালায় কুন্দনের সাজ।
৬. লালের সঙ্গে অন্য রঙে সাজানো কাঠের দুল।
যারা শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, তারা সালোয়ার-কামিজ অথবা লম্বা কুর্তা পরে নিন। এক্ষেত্রেও উঁচু গলা ও লম্বা হাতা মানানসই হবে। পোশাকে লাল সবুজ রাখতে না চাইলে রাখুন ওড়না, স্কার্ফ ও গহনায়। আর যদি আলাদাভাবে পোশাক কেনা না হয়ে থাকে, তাহলে একটি বড় পতাকা কিনে গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন। অথবা কপালে লাল সবুজ টিপ পরে দু’হাত সাজিয়ে তুলুন লাল সবুজ চুড়িতে, খোঁপায় পরতে পারেন লাল ফুল।
চোখের পাতায় সবুজ-গোল্ডেন দুটি রং মিলিয়ে শেড দেয়া যেতে পারে আর হাইলাইটে দিন গোল্ডেন রং। চোখের সাজটা স্মোকি না হয়ে কাজল টেনে নিলেই বেশি সুন্দর লাগবে, যা আপনাকে বাঙালী লুক দেবে। তবে ভুলেও কোন গ্লিটার ব্যবহার করবেন না। যতটা সম্ভব ম্যাট লুক রাখবেন। চোখের পাপড়িতে পুরু করে মাস্কারা বুলিয়ে নিন।
ঠোঁটে লিপস্টিক দিন হাল্কা বা মাঝারি রঙের। এক্ষেত্রে হাল্কা কফি বা লাল রং ব্যবহার করতে পারেন। বেশি উজ্জ্বল রং না দেয়াই ভাল, কারণ পড়নে থাকবে লাল সবুজের পোশাক। এক শেড গাঢ় রঙের লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট ভাল করে এঁকে নিন। গালে হাল্কা ব্রোঞ্জ কালারের ব্লাসন ব্যবহার করুন। খোঁপা বা বেণী করা চুলে ফুলের মালা আর একটি টিপ আপনার স্বাধীনতা দিবসের সাজে পূর্ণতা এনে দেবে।
লাল সবুজের ফ্যাশনের অন্যান্য অনুষঙ্গের আয়োজনেও অপূর্ণতা নেই। মেয়েদের পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে পাওয়া যাচ্ছে গলার মালা, চুড়ি, কানের দুল ও হাতের আংটি। স্বাধীনতা দিবসের আনন্দের এই দিনটিতে আপনার সবকিছুতেই থাকুক লাল সবুজের ছোঁয়া।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: