সোফিয়া তুমি কি পূরবী দাশের চেয়েও হৃদয়হীনা? সৌমিক সারারাত কাটিয়েছিল
রাস্তায়, আকাশে চাঁদ গিয়েছিল ক্ষয়ে। নীরবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল
পূরবী দাশের জানালা। সকালের আলোয় নীরব সৌমিক দেখেছিল ঘুম ভাঙ্গা চোখের পুরবী দাশ নেমে এসেছিল মর্নিং ওয়াকে, বৃদ্ধা ঠাকুমার সঙ্গে কত কথা তার-
মনে হয়নি একবারও সৌমিককে বলে, কোথা থেকে এলে, চোখ এত লাল কেন?
রাত জাগা ওই লাল চোখ দেখলে সোফিয়া তুমি নিশ্চয়ই বলতে, এত লাল কেন চোখ?
সোফিয়া তোমাকে দেখে, খুশি ডগমগ ফিরে গেছে সবাই, কাঁদেনি কেউ।
সৌমিক পাহাড়ের সিঁড়ি বেয়ে ফিরে গিয়েছিল লজে, অনেক ক্লান্ত পায়ে।
চোখ ফেটে তার এসেছিল জল, অনেক অনেক তরুণ উষ্ণ সে জল। পুরবী দাশ ঠিকই জেনেছিল, সৌমিকের চলার পথে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়েছে জল, তবু গলেনি তার মন-তুমি সে জল দেখলে সোফিয়া ঠিকই বলতে-এত জল কেন ও চোখে, থামাও চোখের জল। সোফিয়া তোমাকে যে গড়েছে সে তো গড়তে চেয়েছে এক হৃদয়হীনা। সৌমিক যৌবনের সবটুকু আলো দিয়ে গড়তে
চেয়েছিল পুরবী দাশের হৃদয়, তাও যদি না পারে শুধু শুনতে চেয়েছিল একবার পুরবী দাশরে দুটি ঠোঁট সমুদ্র¯্রােতের মতো একে বেকে শব্দ তুলে বলুক-সৌমকি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: