ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

ঝলক

১১ মাস বয়সে ঝানু সার্ফার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহোর বাসিন্দা নিক রাউলি ও হুইটনির কোলজুড়ে ১১ মাস আগে জন্ম নেয় ক্যাস নামের একটি মেয়ে শিশু। মেয়ে বড় হয়ে বরফের মধ্যে সার্ফিং করবে-এই ভেবে তখন একটি রংচংয়ে স্কেটিংবোর্ড কিনে রাখেন বাবা নিক। তখন নিক হয়ত ভাবেননি তার এতটুকু মেয়ে একদিন সুপারস্টার হবে। বুধবার এই পুঁচকে একজন পেশাদার সার্ফারের মতো বরফের ওপর দিয়ে সার্ফিং করে তার জাত চিনিয়েছে। সার্ফিয়ের এই দৃশ্য ভিডিও করে অনলাইনে ছাড়তেই তা রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দেয়। মার্কিন মুলুকের প্রথম সারির অনেক গণমাধ্যমে তাদের প্রাইম নিউজের সঙ্গে এই ভিডিও দৃশ্য প্রচার করে ক্যাসের গুণগান বর্ণনা করে। দেশটির কেবিওআই টিভির খবরে বলা হয়েছে, ক্যাস একদিন বিশ্বের নামজাদা সার্ফার হতে পারে। কারণ এই বয়সে তার দেহভঙ্গি একজন ঝানু সার্ফারের মতো। স্কেটিংবোর্ডে দাঁড়িয়ে ক্যাস যেভাবে তার শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করেছে তা ছিল এক কথায় দৃষ্টিমনোহর। আইডাহোর বয়েজ মাউন্টেন রিসোর্টে ক্যাস যখন স্কেটিং করছিল তখন উপস্থিতরা ভিরমি খায়। মেয়েটির গর্বিত বাবা নিক রাউলি বলেন, ক্যাসের বয়স ১১ মাস ২৮ দিন। এই বয়সে মেয়েটি যখন সার্ফিং করছিল তখন প্রথমে আমি ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু স্কেটিংবোর্ডে দাঁড়িয়ে ক্যাস যখন এগুতে থাকে তখন বাবা হিসেবে আমার গর্ব হচ্ছিল। তিনি বলেন, মেয়েটি নয় মাস বয়সে হাটা শেখে। তখন থেকেই ঘরের কার্পেটের ওপর দিয়ে সার্ফিং করত। ক্যাসের জন্য আমাদের গর্ব হচ্ছে। মেয়েটির বাবা-মা আগামী ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আমেরিকা সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সেখানে ক্যাসকে সার্ফিংয়ের অন্যান্য বিষয় শেখানোর ইচ্ছা তাদের।-সিএনএন ও ইউপিআই অবলম্বনে। মোস্ট হ্যান্ডসাম ঘোড়া এখন সৌন্দর্যের ধারণা পাল্টেছে। এবার একটি মিশকালো ঘোড়া বিশ্বের মোস্ট হ্যান্ডসাম ঘোড়ার তকমা জিতেছে। ‘ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেট নামের’ ১৬ বছর বয়সী এই ঘোড়া বিশ্বের অনেক দেশের ঘোড়াকে পেছনে ফেলে এই তকমা জেতে। পৌরুষদীপ্ত ফ্রেডেরিকের চলাফেরায় এক ধরনের আভিজাত্য রয়েছে। এটির মালিক স্টেসি নাজারিও। আরকানসাসের খামারে ঘোড়াটি লালন-পালন করেন। ঘোড়াটির বয়স যখন ছয় বছর তখন নেদারল্যান্ডস থেকে এটি সংগ্রহ করেন স্টেসি নাজারিও। তিনি বলেন, প্রথম দেখাতেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে এই ঘোড়ার মধ্যে অতিরিক্ত গুণ রয়েছে। আমার সেই ধারণা বিফলে যায়নি। এটির জাঁকজমকপূর্ণ দৌঁড়ানো দেখলে যে কেউ বিমোহিত হয়ে যায়। অনেক মানুষও এটির সৌন্দর্যকে হিংসা করে। কারণ সামাজিক মাধ্যমে এই ঘোড়ার ছবি কয়েক লাখ শেয়ার হয়েছে। এটি দেখতে প্রতিদিন আরকানসাসের খামারে হাজির হচ্ছে বহু মানুষ। যারা এই ঘোড়ার খেলা দেখতে পারে তারা নিজেদের ধন্য মনে করে। অনেকে এই ঘোড়ার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে নিজেকে ধন্য মনে করছে। অনেক নারী আবার এই ঘোড়ার মুখে চুমু দিয়ে ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে ছাড়ছে। তবে এটি কাউকে ভয় দেখায় না। ফেসবুকে এই ঘোড়ার ফলোয়ার রয়েছে ৪০ হাজার। এ বছর ইন্টারনেটে এটিকে খোঁজা হয়েছে ৭২ হাজার বার। গার্ডিয়ান ও অডিটি সেন্ট্রাল অবলম্বনে।
×