ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

ফিরে দেখা

পোপের মুখে রোহিঙ্গা তৌহিদুর রহমান ॥ খ্রীস্টান রোমান ক্যাথলিক প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস সম্প্রতি ঢাকায় এসে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিন কাকরাইলের আর্চবিশপ হাউসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। আর্চবিশপ হাউসের মঞ্চে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ শেষে তিনটি পরিবারের ১৬ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে আলাপ করেন পোপ। তাদের খোঁজখবর নেন। উপস্থিত প্রতিটি রোহিঙ্গা নাগরিকের সঙ্গেই তিনি বেশ কিছুক্ষণ আলাপ করেন। এরপর তিনি প্রথমবারের মতো ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ উচ্চারণ করেন। পোপের মুখে রোহিঙ্গা শব্দ শুনে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা উচ্ছ্বসিত হয়। এত পুলিশ কেন? শরীফুল ইসলাম ॥ ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা। রাজধানীর শান্তিনগর মোড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখে এক লোক এর কারণ খোঁজার চেষ্টা করেন। প্রথমে তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক পথচারীর কাছে জানতে চান এখানে এত পুলিশ কেন? পথচারীর কাছে সদুত্তর না পেয়ে এক পুলিশের কাছে এর কারণ জিজ্ঞেস করেন। এ সময় ওই পুলিশ বলেন, হেফাজতে ইসলামের মিছিল আসবে, তাই আমরা সতর্ক অবস্থানে। শান্তিনগর থেকে পল্টন পর্যন্ত প্রতিটি মোড়েই বিপুলসংখ্যক পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়। পল্টন মোড়ের কাছাকাছি এক পুলিশ কর্মকর্তাকে তার সহকর্মীদের নিয়ে রাস্তায় থাকা সকল যানবাহন সরিয়ে দিতে দেখা যায়। এ সময় এক সাংবাদিক ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চান রাস্তা থেকে সব যানবাহন সরিয়ে দেয়া হচ্ছে কেন? জবাবে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম বলে কথা। ২০১৩ সালের ৫ মের ঘটনার পর হেফাজতে ইসলামের প্রতি আমরা সতর্ক। এরই মধ্যে হেফাজতের মিছিল শুরু হলে পুলিশের তৎপরতা আরও বেড়ে যায়। দাবায় এক ঘুঁটির কারিশমা... রুমেল খান ॥ দাবাড়ু হিসেবে আমি খুব একটা দক্ষ নই। তার পরও অসীম আগ্রহ নিয়ে খেলি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হেরে যাই। তবে ২০১৭ সালের ৫ নবেম্বর রবিবার আমার দাবা ক্যারিয়ারের এক স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। এদিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) দাবা প্রতিযোগিতায় খেলতে গিয়ে আজব এক কা- ঘটিয়ে ফেলি। প্রথম রাউন্ডে আমার প্রতিপক্ষ সমকালের রিপোর্টার অমরেশ রায়। অনেক সিনিয়র মানুষ। অভিজ্ঞ দাবাড়ুও বটে। চার বছর আগের আসরের রানার্সআপ তিনি। তার সঙ্গে খেলতে গিয়ে একে একে রাজা ছাড়া সব ঘুঁটিই খোয়ালাম। উনার আছে রাজা, ঘোড়া, হাতি ও ৪-৫টা সৈন্য। স্বাভাবিকভাবেই আমার অবস্থা শোচনীয়। অমরেশ ভাই আমাকে হার মেনে নিতে বললেন। কিন্তু আমি রাজি হলাম না। বললাম পারলে আমাকে চেক মেট করেন। বিশ্বাস করবেন না, ওই অবস্থা থেকে আমার নতুন সংগ্রাম শুরু হলো। প্রায় ৩০টির মতো চাল দিয়ে ফেললাম; কিন্ত উনি আমাকে হারাতে পারছেন না। বরং অবিশ্বাস্যভাবে আমিই তার দুটি সৈন্য তুলে ফেললাম। ব্যাপার দেখে আশপাশের অন্য দাবাড়ু ও টুর্নামেন্ট কমিটির লোকজন আমাদের খেলা দেখতে চলে এলো। সবাই মহাবিস্মিত। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। আমি খেলা ড্র করে ফেললাম। ডিআরইউ দাবার বর্তমান ও সর্বাধিক ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন মোরসালিন আহমেদ ভাই বললেন, ‘রুমেল তো ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ডিআরইউর উচিত ওকে একটা স্পেশাল এ্যাওয়ার্ড দেয়া!’ খেলা ড্র হওয়াতে আবারও ফিরতি ম্যাচ খেলতে হলো অমরেশ ভাইয়ের সঙ্গে। এবার অবশ্য হারলাম। হারার কারণ ধৈর্য ও মনোযোগের অভাব। হেরে আক্ষেপ নেই। কারণ আমি আন্ডারডগ। নিজের চেয়ে শতগুণে ভাল দাবাড়ুর সঙ্গে মাত্র একটা ঘুঁটি নিয়ে খেলে যেভাবে ড্র করেছি সেটাই আমার কাছে জয়ের সমতুল্য। কোন সন্দেহ নেই, এই ড্রতুল্য জয়ের স্মৃতি বহুদিন গেঁথে থাকবে মানসপটে।
×