ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে কঠোর নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে কঠোর নিরাপত্তা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আসন্ন বড়দিন ও ইংরেজী নতুন বছর উপলক্ষে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে’ অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। সে লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নতুন বছর উদ্যাপনের রাতে ঢাকায় সকল বার বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শনও নিষিদ্ধ। বড় দিন উপলক্ষেও নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসন্ন বড়দিন উদ্যাপন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আয়োজিত সভায় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বৈঠকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা রয়েছে। এই উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে বড় দিন বা ‘থার্টি ফাস্ট নাইটে’ বাংলাদেশে একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। বৈঠকে শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ উদ্যাপনের রাতে ঢাকায় সকল বার বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শনও নিষিদ্ধ। ৩১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে ঢাকা শহরের সকল বার বন্ধ থাকবে এবং পরের দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত কোন লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রও কেউ বহন বা প্রদর্শন করতে পারবেন না। থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোন সমাবেশ করা যাবে না। তবে ইনডোরে হোটেল বা যার যার বাসাবাড়িতে যারা অনুষ্ঠান করতে চান তারা করবেন। সেখানে যদি নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে নিরাপত্তা দেবে। মন্ত্রী বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে গুলশান, বনানী, বারিধারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর কোন বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। বহিরাগত প্রবেশ আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখব। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে মোট ৭৫টি চার্চ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বড়। আগামী ২৪ থেকে ২৫ ডিসেম্বর এই চার্চগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হবে। কূটনৈতিক এলকায়ও বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হবে। শুধু কূটনৈতিক পাড়ায় পাঁচ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকবে। এর পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্তসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। বড় চার্চগুলোতে মেটাল ডিটেক্টর ও সিসিটিভি থাকবে। আসন্ন বড় দিন ও ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ উপলক্ষে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জুয়েল আরেং এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া প্রমুখ।
×