ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘কঙ্কাল’ নাটকের রজতজয়ন্তী

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

‘কঙ্কাল’ নাটকের রজতজয়ন্তী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাট্যদল নাট্যতীর্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প কঙ্কাল অবলম্বনে ২০১৪ সালে ‘কঙ্কাল’ নামে নাটকটি মঞ্চে আনে। রবীন্দ্রনাথের গল্পের নাট্যরূপ দিয়েছেন বরেণ্য নাট্যকার রবিউল আলম। নির্দেশনা দিয়েছেন তপন হাফিজ। গত তিন বছরে নাটকটির ২৪টি মঞ্চায়ন হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির রজতজয়ন্তী প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। রজতজয়ন্তী প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন বরেণ্য নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। ‘কঙ্কাল’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন সাদিয়া ইসলাম শান্তা, এস এম শামসুর রহমান পেরু, মারুফ তমাল, মোনালিসা মোনা, মিরাজ ও তপন হাফিজ। নাটকের আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন পরিমল মজুমদার, মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন ফয়েজ জহির, পোশাক পরিকল্পনা করেছেন ড. আইরিন পারভিন লোপা এবং রূপসজ্জায় শুভাশিস দত্ত তন্ময়। মানুষ জীবিত অবস্থায় যদি মানুষের দায়িত্ব পালন না করে তবে সে বেঁচে থেকেও কঙ্কাল। নির্দেশক তার নাটকে এ বক্তব্যই উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। নাটকের গল্পে দেখা যায় প্রায় শতবর্ষ পুরাতন গল্পের নাটকে দেখা যায়, বাল্যকালের পড়ার ঘরে হঠাৎ করেই রাত কাটাতে এসে খোকাবাবু দেখা পায় সুন্দরী রমণী কনকচাঁপার, যার কঙ্কাল দ্বারা বাল্যকালে অস্থিবিদ্যার পাঠ নিত সে ও তার সঙ্গীরা। কনক তার কাছে তার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা করতে থাকে। বাল্যবিধবা কনকের স্থান হয় চিরকুমার দাদার (ভাই) কাছে। তার দাদার বন্ধু শশি শেখর মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে এসে তাদের নিচ তলায় চেম্বার খোলে। চেম্বারে কনকের নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু হয়। দুজনের সম্পর্ক প্রণয়ে রূপ নেয়। দিনে দিনে শশি শেখর কনকের অন্তরঙ্গ হতে চাইলে চাইলে নিজেকে গুটিয়ে নেয় কনক। কনক বুঝতে পারে তাদের অনাধুনিক সমাজ তাদের এ সম্পর্ক মেনে নেবে না। অন্যদিকে পরিবারের চাপে মোটা অঙ্কের পণে অন্যত্র বিয়েতে রাজি হয় শশি শেখর। কনক তা মেনে নিতে পারে না। মদে বিষ মিশিয়ে হত্যা করে নিজেকে আর নিজের ভালবাসার মানুষ শশি শেখরকে।
×