ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ আজ বৃহস্পতিবার ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর বীরশ্রেষ্ঠের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ক্যাপ্টেন মহীউদ্দীন জাহাঙ্গীর বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের এই দিনে যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হয়েছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রেহাইচরে। তিনি ছিলেন ৭নং সেক্টরের মোহদীপুর সাব সেক্টর কমান্ডার। ওই সময় ৭নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন লে. কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ ডাক বাংলোয় যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ, কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরসহ অন্য সেনা কর্মকর্তারা এক সভায় মিলিত হন। সে সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের রননীতি প্রস্তুত করা হয়। মহানন্দা নদীর দক্ষিণ পাশে বর্তমান সেতুর প্রান্তসীমায় পাক সৈন্যের ঘাঁটি। এখানে পাকদের সমর্থনে আল বদর বাহিনী সশস্ত্র সঙ্গ দিয়ে থাকত। এটা ছিল শহরে প্রবেশ মুখে শত্রু সৈন্য পাক বাহিনীর শেষ প্রতিরোধ বুহ্য। এত কিছুকে তুচ্ছ ভেবে তা উপেক্ষা করে তরুণ দুর্জয় সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর শেষ প্রতিরোধ বুহ্য ভেঙ্গে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে ঝড়ের বেগে এগিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষ্যাভিমুখে। শত্রু নিধনের নেশায় মেতে উঠেছিলেন। নিজ হাতে একের পর এক গ্রেনেড ছুড়ে শত্রুদের বাঙ্কারের পর বাঙ্কার গুড়িয়ে অসীম সাহসী এই সৈনিক সামনের দিকে এগিয়ে যান। হঠাৎ শত্রুদের বাঙ্কার থেকে একটি বুলেট তার মাথায় বিদ্ধ করে। বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান ক্যাপ্টেন মহীউদ্দীনের দেহ লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী কর্নেল জামান স্থাপিত অস্থায়ী হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে দাফন করা হয় সোনামসজিদ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের আরেক বীরযোদ্ধা শহীদ মেজর নাজমুল হকের কবরের পাশে। বীরশ্রেষ্ঠের মৃত্যু দিবস উপলক্ষে দিনভর কর্মসূচীর প্রথম পর্বে রেহাইচরের স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ ১৪টি প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। দ্বিতীয় পর্বে শহীদ হওয়ার স্থান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে সোনামসজিদ চত্বরে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ ২১টি প্রতিষ্ঠান। পরে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
×