ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংবাদ সম্মেলন মন্তব্য

রোহিঙ্গাদের জন্য আসা বিদেশী অর্থ সবই জমা হচ্ছে জাতিসংঘ তহবিলে

প্রকাশিত: ০৮:২৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের জন্য আসা বিদেশী অর্থ সবই জমা হচ্ছে জাতিসংঘ তহবিলে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘সরকারবিরোধী গোষ্ঠী অপপ্রচার চালিয়ে বেড়াচ্ছে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে বিদেশী মাধ্যম থেকে সরকার অর্থ আত্মসাৎ করছে। কিন্তু বিদেশী সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অর্থ সবই জমা হচ্ছে জাতিসংঘের তহবিলে। এ অর্থের ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। সত্যি হলো যে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বরং বাংলাদেশ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। যা রাখা হয়েছিলো চলতি বছরে প্লাবনের শিকার ৬২ দশমিক ৩ লাখ জনগণের উন্নয়নে।’ এমন মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির। মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিলিয়া মিলনায়তনে ইউনাইটেড ন্যাশন এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বৈশ্বিক মানবাধিকার ও রোহিঙ্গা সংকট’ শীর্ষক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, আইনবিদ আমির-উল ইসলাম, অধ্যাপক ইমিরেটাস আনিসুজ্জামান। সম্মেলনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন ঢাকায় জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পড়ে শোনান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব মাহাবুব জামান। এ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির বলেন, ১৯৭৭ সালে যখন বাংলাদেশে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩ জন রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে তখন থেকেই রোহিঙ্গাদের বিষয়টি বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়। এবছর সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। সকল মাধ্যম থেকেই মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু আদৌ কি মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নিবে? এ বিষয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আমি চীনে গিয়েছিলাম। ওরা বলেছে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে হবে। সেখানে আউং সান সুচির দেখা হয়েছে। তার সঙ্গে কথা বলে ৩টি বিষয় সামনে এসেছে। প্রথমত, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বাঙালী নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করছে। যেখানে রাখাইনে জন্মগ্রহণ করা নাগরিকের বর্মণ নাম রাখা হয়। তাদের নাম নিয়ে মিয়ানমারের সন্দেহ রয়েছে। দ্বিতীয়ত, তাদের ১৮৪টি গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কে কোন গ্রামে বাস করত তারও কোন প্রমাণ নেই। নিবন্ধনের সময় তারা যে গ্রামের নাম দিচ্ছে আদৌ সে নামের গ্রাম আছে কিনা সেটি নিয়েও সংশয় রয়েছে। সর্বশেষ বিষয়টি হলো, প্রায় ৭৩ হাজার গর্ভবতী নারী যারা রোহিঙ্গা ¯্রােতে ভেসে এসেছে তাদের সন্তানরা কখনও মিয়ানমারের নাগরিক হতে পারবে না। কারণ তারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছে।’ এসব বিষয় খতিয়ে দেখে মিয়ানমার সরকার তাদেরকে সেদেশের নাগরিকত্ব দেয়ার সম্মতির পথে। এ বিষয়গুলো বাংলাদেশের কাছে চ্যালেঞ্জের বিষয়।’
×