ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে কৃত্রিম সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

আমতলীতে কৃত্রিম সঙ্কট

নিজস্ব সংবাদদাতা আমতলী, বরগুনা থেকে জানান, আমতলীতে বোরো বীজের কৃত্রিম সঙ্কট চলছে। কৃষকরা বাজারে ব্রি-৪৭ জাতের বীজ ধান পাচ্ছে না। চাহিদা অনুযায়ী এ জাতের বীজ ধান না পাওয়ায় কৃষক দিশেহারা। অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃপক্ষের সাথে ডিলাররা সিন্ডিকেট করে বীজের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেছে। এতে কৃষকদের বাজার থেকে তিনগুণ মূল্যে বীজ ধান কিনতে হচ্ছে। মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম বদরুল আলম ডিলারের দোকান পরিদর্শন করেছেন। জানা গেছে, আমতলীতে এ বছর বোরো ধানের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার হেক্টর। অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাস বোরো চাষের উপযুক্ত সময়। কৃষকরা ক্ষেতে বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নিয়েছে। পৌষ মাস জুড়ে বোরো ধান চাষাবাদের জন্য বীজের চাহিদা রয়েছে। বাজারে বোরো ধানের বিনা-১৪, ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৫০, ব্রি-৪৭ (ভিত্তি) ও ব্রিধান-৪৭ (মান ঘোষিত) ছয় জাতের ধানের বীজ রয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-৪৭ (ভিত্তি) জাতের ধানের চাহিদা বেশি। এ জাতের ধানের বীজে ভাল ফলন হওয়ায় কৃষকদের এ বীজের চাহিদা বেশি। জানা গেছে, আমতলীতে বিভিন্ন জাতের ৪.২ মেট্রিক টন বোরো বীজ ধান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রিধান-৪৭ ধান ১.৩ মেট্রিক টন। এ উপজেলায় বিএডিসি’র নিয়োগকৃত ১১ জন ডিলার রয়েছে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিনা-১৪, ব্রিধান-৪৭ ও ব্রিধান-২৮ জাতের ধানের বীজের দাম ৫০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজির এক বস্তা ধানের মূল্য ৫০০ টাকা। এ দামে কৃষকদের কাছে বীজ ধান বিক্রি করার কথা থাকলেও ডিলাররা ভ্যাট, পরিবহন ও লেবার খরচ দেখিয়ে ওই বীজ ধান বেশি টাকায় বিক্রি করছে। কৃষকরা অভিযোগ করেন ডিলার ও বিএডিসি কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট করে বাজারে বীজ ধানের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে তিনগুন বেশি মূল্যে বিক্রি করছে। এদিকে বাজারে বিএডিসি’র একই মানের সোনালি সীড ফার্মা ও সাউথ এশিয়ান সীডস কোম্পানীর ব্রিধান-৪৭ জাতের ১১৫০ টাকার ধান ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দামে বীজ বিক্রির অভিযোগে পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×