ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিই সংলাপের পথ বন্ধ করেছে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

বিএনপিই সংলাপের পথ বন্ধ করেছে ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ও যশোর ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিএনপিই সংলাপের পথ বন্ধ করেছে। কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে সহমর্মিতা জানাতে গিয়েছিলেন কিন্তু তাকে বাধা দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়েই সংলাপের পথ বিএনপিই বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের মুখে এখন সংলাপের কথা মানায় না। সেতুমন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অন্যদিকে মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষায় বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হবে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে যশোরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। যশোরে তিনি আরও বলেন, বিএনপি শুধু বারবার একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছে, যা জনগণ আর গ্রহণ করছে না। সাতক্ষীরার অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা যাতে আওয়ামী লীগের সদস্য হতে না পারে- এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়, তাই অনেকেই এই দলে আসবে, আসতে চাইবে। কিন্তু ক্ষমতায় না থাকলে পাঁচ হাজার ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়েও আর তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। ওবায়দুল কাদের মঞ্চে বসা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা মঞ্চে বসা নেতাদের মধ্যে। এখনই সতর্ক হোন। নইলে বিপদ আছে। বড় বড় বিল বোর্ড, বড় বড় ব্যানারে ছবি টাঙিয়ে অথবা ঢাকায় বসে থেকে মনোনয়ন পাওয়া যাবে না। মনোনয়ন হবে জনগণ ও দলীয় কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে। যারা ঢাকায় থাকেন তারা সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন। জনগণের সঙ্গে মেশেন। আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর ও আমেরিকার আদালতে ইতোমধ্যে তারেক রহমানের মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজ পরিবারের গ্রেফতারকৃত সদস্যদের স্বীকারোক্তিতেও খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের অস্তিত্ব মিলেছে। মন্ত্রী সাতক্ষীরাবাসীর উদ্দেশে বলেন, সব রাস্তার টেন্ডার হয়ে গেছে। আগামী জুনের মধ্যে আপনারা বাস্তবে দেখতে পাবেন। আমি যে প্রতিশ্রুতি দেই তা পূরণ করি। বিএনপি নির্বাচনে আসতে বাধ্য ॥ এদিকে, যশোরে অনুরূপ অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষায় বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য সাতক্ষীরার পথে যশোরের রাজারহাটে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ভাঙা রেকর্ড বাজতেই থাকে। তারা বলে-গেল রে গেল, গণতন্ত্র গেল! গেল রে গেল, নির্বাচন গেল! আগে বলতো বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হয়ে গেল। সেই পুরনো স্লোগান তারা বারবার দিচ্ছে। বিএনপির এবার নির্বাচনে না আসার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচনে তাদের আসতেই হবে। যদি তারা রাজনৈতিক অস্তিত্বকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে না চায়, তাহলে নির্বাচনে আসা তাদের জন্য জরুরী। তারা এটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না। কারণ তারা আরও সঙ্কুচিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। আগামী নির্বাচন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। বিএনপি যদি না আসে, তাহলে সেই সুযোগ হাত ছাড়া করবে তারা। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির দুর্নীতির কেচ্ছা কাহিনীর থলের বিড়াল মিউ করে বেরিয়ে আসছে। কাতার, সৌদি আরবের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হয়েছে। কানাডার আদালত তো রায় দিয়েছে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির রায়ও হয়েছে। বাংলাদেশের আদালতেও অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে। এগুলোকে বিএনপি কি অস্বীকার করতে পারে? কানাডার ও সিঙ্গাপুরের আদালতের রায়কে কি তারা অস্বীকার করতে পারে? শুধু দুর্নীতি না কানাডা বিএনপির এক নেতাকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। তারা বলেছে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের নেতাকে আশ্রয় দেয়া যাবে না। কানাডা কি আমাদের সরকারের আদালত ? নাকি সরকারী হস্তক্ষেপে এই রায় দিয়েছে কানাডা ?
×