ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

৯৯৯ নম্বরে জরুরী সেবা চালু

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

৯৯৯ নম্বরে জরুরী সেবা চালু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুরু হলো পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলেই পাওয়া যাবে এই সেবা। আর এক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে টাকা না থাকলেও কোন অসুবিধা নেই। ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটের মাধ্যমেও এই সেবা পাওয়া যাবে। শুধু এমন সেবাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না সরকার। ঢাকাকে নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ই পাসপোর্ট ও ই-ইমিগ্রেশনসহ অচিরেই ই গেট ব্যবস্থা চালু হচ্ছে বিমানবন্দরে। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেবাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধন শেষে সজীব ওয়াজেদ জয় ঢাকার আব্দুল গণি রোডের মহানগর পুলিশের ক্রাইম কমান্ড এ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, উন্নত দেশের মতো নাগরিকরা দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৯৯৯ নম্বরে সম্পূর্ণ ‘টোল ফ্রি’ কল করে জরুরী পুলিশী সেবা, ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে পারবেন। কেউ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহায়তা চাইলে সার্ভিসের প্রশিক্ষিত এজেন্টরা জরুরী মুহূর্তে মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বা এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবেন। সেবাটির কারিগরি ও প্রযুক্তিগত কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত-৯১১, যুক্তরাজ্যে ব্যবহৃত-৯৯৯ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্যবহৃত-১১২’র আদলে তৈরি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের সভাপতি পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক জানান, বর্তমানে এ কল সেন্টার একসঙ্গে ১২০টি কল ধরতে পারবে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা ৩০০তে উন্নীত করা হবে। এছাড়া এখন শুধুমাত্র মোবাইল ও ল্যান্ডফোন থেকে ফোন দিয়ে এ সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে। আগামীতে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেট থেকেও জরুরী এই সেবা পাওয়া যাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রাজধানী ঢাকাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ (সেফ সিটি) শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তারই অংশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে হবে ই-গেট। ফলে বিমানের যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়াতে হবে না। ই-গেট বসানো হলে নাগরিকরা স্মার্টকার্ড ব্যবহার করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রতি ই-গেট চালু হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস’ নামে এই টেলিসেবাটি চালু রেখেছিল। এখন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় সেবাটি পরিচালিত হবে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা এই সেবা দেবে। ইতোপূর্বে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় হেল্পডেক্স ৯৯৯ চালু করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৬৫ শতাংশ পুলিশী সেবা, ৩১ শতাংশের বেশি ফায়ার সার্ভিস এবং ৪ শতাংশের সামান্য বেশি এ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য ফোন করেছিলেন। এরপর গত ৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সভা শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এক বছরে প্রায় ৩৩ লাখ কল এসেছিল সেবা পাওয়ার জন্য। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনসহ উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×